সূর্যও কি তবে লকডাউনে যাচ্ছে?

ছবি: ইন্টারনেট

মহামারিতে এখন বিশ্বে চলছে লকডাউন। লকডাউন এবার ঘটতে যাচ্ছে সূর্যেও। ক্রমশ কমছে সূর্যের তেজ আর উজ্জ্বলতা। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা অন্তত এমনটাই দাবি করছেন।

তাদের দাবি, সূর্যপৃষ্ঠের উপরে ঘটে চলা ক্রিয়াকলাপ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। অর্থাৎ, সূর্যেও নাকি ‘লকডাউন পর্ব’ শুরু হয়েছে। নাসার ২০১৭ সালের ভবিষ্যদ্বাণী মোতাবেক ২০২০ সালের শুরু ছয় মাসে হতে পারে সোলার মিনিমাম। এর অর্থ সূর্যপৃষ্ঠের উপরে ঘটে চলা ক্রিয়াকলাপ হ্রাস পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সূর্যের শরীরে সৌর কলঙ্কের চিহ্নও হ্রাস পাচ্ছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড: টনি ফিলিপস জানান, ‘সোলার মিনিমাম’ পর্ব শুরু হয়েছে। সঙ্গে সূর্যের চুম্বকীয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এতে করে মহাজাগতিক রশ্মি অতিরিক্ত মাত্রায় সৌরজগতে প্রবেশ করছে।

অতিরিক্ত মাত্রায় মহাজাগতিক রশ্মি নভোচারী ও মেরু বায়ু ভ্রমণকারীদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি ক্ষতিকর। এছাড়াও পৃথিবীর উপরের বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপকে এই রশ্নি প্রভাবিত করে। এতে বেড়ে যাবে বজ্রপাত।

তবে নাসার বিশেষজ্ঞরা ২০১৭ সালে সোলার মিনিমামের সম্ভাবনার ভবিষ্যদ্বাণী করলেও এখন পর্যন্ত সরকারি সংস্থা থেকে এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি।

সৌর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ১৮১৫ সালের ১০ এপ্রিলে ‘সোলার মিনিমাম’র প্রভাবে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট টাম্বোরাতে হওয়া ভয়ঙ্কর অগ্ন্যুৎপাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭১ হাজার মানুষ।

এর ঠিক পরের বছরই ১৮১৬ সালে বিনা গ্রীষ্মের বছর’ দেখেছিল পৃথিবী। সে বছর জুলাই মাসে বিশ্বের বহু জায়গায় বরফ পড়েছিল। এই ঘটনা বিজ্ঞানীদের কাছে ‘ডালটন মিনিমাম’ নামে পরিচিত। সূর্যের কার্যক্রম ও সূর্য কলঙ্ক ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ার সময়কালকে ডালটন পিরিয়ড বলে। মেটরোলজিস্ট জন ডাল্টনের নামানুসারে এই নামকরণ করা হয়েছে।

নাসার বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই ‘সোলার মিনিমাম’র প্রভাবে ১৭৯০ থেকে ১৮৩০ সালের মধ্যে হওয়া ‘ডালটন মিনিমাম’ ফিরে আসতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ফলে অনেক স্থানে ঠান্ডার পরিমাণ বাড়বে। হতে পারে ভূমিকম্প, খরা ও অগ্নুৎপাত। এমনকি ফসলের উপরেও প্রভাব পড়বে।

সূত্র : ডেইলি মেইল

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *