স্বামীর বিচার চেয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

স্বামীর অত্যাচার, নির্যাতন, প্রতারণা, অর্থ আত্মসাতের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বাবুপুর গ্রামের আফরোজা আক্তার লিমা। গতকাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আফরোজা আক্তার লিমা জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বরুহা গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান বাবুর সঙ্গে বিগত ২০১৩ সালের ১ মার্চ তিন লাখ টাকা কাবিনমূল্যে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যার বর্তমান বয়স চার বছর। বিয়ে পর থেকে ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারেন যে, তার স্বামীর চরিত্রগত সমস্যা রয়েছে। এছাড়া তিনি (স্বামী) অনৈতিক ইচ্ছা পূরণের জন্য মাঝে-মধ্যেই তাকে অসহ্য নির্যাতন করতেন। তারপরও কন্যার কথা চিন্তা করে তিনি সংসার চালিয়ে গেছেন। এরমধ্যে তাকে (লিমা) না জানিয়ে বিগত ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল মেহেদী হাসান তালাক দেন। অথচ সেটি গোপন রেখে মেহেদী হাসান চলতি বছরের ১৫ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার সঙ্গে দাম্পত্যজীবন চালিয়ে যান। এ সময় তিনি বিদেশ যাওয়ার কথা বলে লিমাকে বাপের বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। মেয়ের সুখের কথা ভেবে এক লাখ টাকা দেয়া হয় এবং আরো দুই লাখ টাকা বিদেশ যাওয়ার সময় দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। এরমধ্যে মেহেদী হাসান অন্যত্র আরেকটি বিয়ে করেন।

এদিকে লিমাকে বিয়ের সময় বাপের বাড়ি থেকে দেওয়া চার ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার মেহেদী হাসান আত্মসাৎ করেন। আফরোজা আক্তার লিমা আরো জানান, পরবর্তীতে তাকে তালাক দেয়ার কথা জানতে পেরে স্থানীয় সিলিমপুর ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু তাতে কোন মীমাংসা হয়নি। ফলে গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি স্বামী মেহেদী হাসান বাবুকে আসামী করে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু পিবিআই সঠিক তদন্ত না করে উল্টো রিপোর্ট দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আফরোজা আক্তার লিমা। এজন্য তিনি পিবিআই’র রিপোর্ট বাতিল করে পুনরায় তদন্তের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আফরোজা আক্তার লিমার শিশুকন্যা আনহা, মা ফরিদা পারভীনসহ তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *