হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিয়ে হামলা মামলার স্বীকার ধনবাড়ির সাবেক কাউন্সিল মাসুদ রানা, প্রতিকারে সংশ্লিষ্ট সব মহলে আবেদন

হত্যা

হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিয়ে হামলা মামলার স্বীকার ধনবাড়ির সাবেক কাউন্সিল মাসুদ রানা। স্বচক্ষে হত্যাকান্ড দেখে পুলিশের কাছে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসাবে জবানবন্দি দেয়া এবং পরবর্তীতে আদালতে সত্য সাক্ষ্য দেওয়ায় যেন কাল হয়ে যায় সাবেক এই কাউন্সিলরের। ঐ মামলার আসামীর পরিবার নানাভাবে মাসুদ রানার ক্ষতি করার চেষ্টা করে। আসামীর পরিবারের প্রধান আমেরিকা প্রবাসী আলতাফ হোসেন দেশে চলে আসেন শুধুমাত্র প্রতিশোধ নেবার জন্য, এসেই মাসুদ রানাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরবর্তীতে হত্যা চেষ্টা ব্যর্থ হলে দমে থাকেনি আলতাফ ও তার পরিবার। সিনেমার দৃশ্যের মতো দুই শোর মত লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে দখল করতে দখল করতে আসে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া মাসুূদ রানার ৪৯ শতাংশ জমিতে মাছের খামার ফুলের বাগান ও কফি কর্নার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মামলার স্বাক্ষী দেয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জম, ভাঙ্গচুর করে ফুলের বাগান গাছগাছালি কেটে বিনিষ্ঠ করে দেয় তছনছ করে ফেলে কফি হাউজটি। দিশা না পেয়ে ৯৯৯ এর সহায়তায় আলতাফ বাহিনী থেকে রক্ষা পেলেও মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি এখনও চলমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলতাফ হোসেন তার আর্থিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। স্থানীয়দের অর্থে তৈরি মসজিদের সম্পত্তি নিজের মালিকানাধীন দাবি করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী দূর্নীতিগ্রস্থ কমিটি প্রস্তুত করেছে। যার ফলে এলাকাবাসীদেরকে দুই দলে বিভক্ত করেছে। সাধারণ মুসল্লিরা পাটি -তাবু দিয়ে নামাজের জায়গা করে নামাজ আদায় করছে।

রাকিবুল নামের মুসল্লী জানান, আমরা জন প্রতি ৫০০০টাকা চাঁদা তুলে এই মসজিদ বানিয়েছি অথচ আলতাফ সাহেব এসে বলে এই মসজিদের সকল খরচ সে করেছে তাই এখানে তার কথায় শেষ কথা।
মাসুদ রানা ও আলতাফের সম্পর্কে বিবরণ দিতে গিয়ে একই গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, প্রতিশোধের নেশায় মানুষ কতকিছু করে সেটা আলতাফকে না দেখলে বিশ্বাস করা অসম্ভব ছিল। একটা মানুষের জায়গা জমি, ব্যবসা বানিজ্য দখলের যে অপচেষ্টা সে করেছে এটি নির্মূল করা জরুরি।

আলতাফ বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি পুলিশ সুপার টাঙ্গাইল, জেলা প্রশাসক টাঙ্গাইল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, আইজিপি, দুদক সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে অতিসত্বর বিচারের জোর দাবি করেছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *