২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল বিক্রির অভিযোগে তৎকালীন শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাকে পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রায় দশ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এই ক্রিকেটারকে।
কলম্বোতে বৃহস্পতিবার এই লঙ্কান কিংবদন্তিকে তদন্তের অংশ হিসেবে এ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
ওই বিশ্বকাপের সময়ের শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানন্দা আলুথগামাগে গত ১৮ জুন অভিযোগ করেছিলেন, ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ভারতের কাছে বিক্রি করেছে তার দেশ। সেখানে ক্রিকেটারদের কেউ কেউ জড়িত বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। কয়েকদিন পর সুর পাল্টে তিনি বলেন, তার কেবল সন্দেহ হয়। সেই অভিযোগের সূত্রেই তদন্ত শুরু করেছে লঙ্কান পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাঙ্গাকারা বললেন, সত্যের প্রকাশ দেখতে চান তিনি।
“ আমি এখানে এসেছিলাম ক্রিকেটের প্রতি দায়িত্ববোধ ও সম্মান থেকেই। আশা করি, তদন্ত শেষে মাহিন্দানন্দার অভিযোগ নিয়ে সত্যটি বেরিয়ে আসবে।”
সাঙ্গাকারার আগে আরেক সাবেক অধিনায়ক ও ওই সময়ের প্রধান নির্বাচক অরবিন্দ ডি সিলভাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ৬ ঘণ্টা, ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গাকে ২ ঘণ্টা। মাহেলা জয়াবর্ধনেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা শুক্রবার।
ভারতের কাছে হেরে যাওয়া ওই ফাইনালের একাদশে আগের ম্যাচের একাদশ থেকে চারটি পরিবর্তন এনেছিল শ্রীলঙ্কা। এতগুলি পরিবর্তন নিয়ে তখন বিস্ময় ছিল অনেকেরই, প্রশ্ন ওঠে এখনও। ফাইনালের টস হয়েছিল দুইবার। রান তাড়ায় লঙ্কানরা ভালো হওয়ার পরও কেন সাঙ্গাকারা আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন, তা নিয়ে তখন প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে।
এবার আলুথগামাগে অভিযোগ তোলার পরই তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন ওই বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কান সিনিয়র ক্রিকেটার সাঙ্গাকারা ও জয়াবর্ধনে।
গত নভেম্বর শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ ফিক্সিংকে ফৌজদারি আইনে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অপরাধে শাস্তি হতে পারে ১০ বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে ১০ কোটি রুপি।
আরও পড়ুন: রামোসের গোলে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে যাওয়ার আগে সাঙ্গাকারা বলেছিলেন, এই অভিযোগ নিয়ে শুধু শ্রীলঙ্কার নয়, আইসিসিরও তদন্ত করা উচিত।
সাঙ্গাকারার ক্রিকেট ক্যারিয়ার দুর্দান্ত। খেলাটির সর্বকালের সেরাদের একজন তিনি। অবসরের পরও ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে শ্রদ্ধেয় একজন। ৪২ বছর বয়সী সাবেক এই ব্যাটসম্যান এখন ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা এমসিসির সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন।