করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গঠিত সর্বস্তরের কমিটি ও উপ-কমিটিকে সক্রিয় করার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার (১২ জুন) রাজধানীর মিন্টো রোডে তাঁর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ আহবান জানান।
দেশের বর্তমান করোনা-মহামারীর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক লক-ডাউন বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্যই উচ্চ পর্যাযের এ অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ভিডিও কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ গ্রহণ করেন।
এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন দুর্যোগকালিন সময়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে যেসব কমিটি গঠিত হয়েছে – সেসব কমিটিকে সক্রিয় করে লক-ডাউনের বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিলে তা অধিক কার্যকরী হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় জোন ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হলে, তা বাস্তবায়নে রাজধানীসহ সারাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী ও সমাজসেবকদের নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গঠিত সকল কমিটি ও উপকমিটিকে সক্রিয় হতে হবে।’
জোন ভিত্তিক এলাকাগুলোতে অন্যান্য জরুরী সেবা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুবিধার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, এসব এলাকার গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য ‘অ্যাম্বুলেন্স সেল’ করে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের প্রস্তুতিও রাখতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, একটি ওয়ার্ডের যে অংশে করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রামক ‘রেড-মাত্রায়’ পৌঁছেছে সেক্ষত্রে পুরো ওয়ার্ড নয়, কেবল সেই অংশ লক-ডাউন করলে কাজের চাপ কম হবে।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে এমপি তন্ময়
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে যখন এলাকা ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হবে, তখন সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীর সদস্য ন্যস্ত করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ, করোনা ছাড়াও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা জনিত বিষয়ও সামলাতে হয়। তাই শুধু করোনা প্রতিরোধে এত সংখ্যক জনবল পদায়ন করা কঠিন হবে।’
এ জন্য জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ মোকাবেলা সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন। বাসস।