বড়ো কোনো পরিবর্তন ছাড়াই পাস হয়েছে অর্থবিল-২০২০। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে বড়ো কোনো পরিবর্তন আসেনি, তাই অর্থবিলেও কোনো পরিবর্তন আসেনি।
সোমবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থবিল-২০২০ পাসের অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে তিনি কোনো ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই পাসের জন্য অনুরোধ করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অর্থবিল-২০২০ জাতীয় সংসদে পাসের জন্য ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। সকালে সংসদের মুলতবি অধিবেশন শুরু হলে সরকারি ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা বাজেটের ওপর আলোচনা করেন। পরবর্তী সময়ে সংসদ-নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা অনেক স্টাডি করে অর্থবিল-২০২০ এর ওপর বিভিন্ন সংশোধনী এনেছেন। আমি তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। যে সংশোধনীগুলো গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো হলো- সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান কর্তৃক অর্থবিলের দফা-৮, ১৬ এবং ৫৪ এর সংশোধনী প্রস্তাব। সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ কর্তৃক অর্থবিলের দফা- ৮, ১৬, ১৮, ৫৪ এর সব সংশোধনী প্রস্তাব।
এছাড়া সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক অর্থবিলের দফা-১৭, ১৮, ৩৯, ৪৩ এবং তফসিল ২ এ যে সব সংশোধনী প্রস্তাব, সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থবিলের দফা-১৮ এবং ৫১, সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ অর্থবিলের দফা-৫৪, ৬২, ৭০, ৭১ এবং সংসদ সদস্য মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা অর্থবিলের দফা-১৫, ৭৩, ৭৬, ৮০, ৮১-তে যে-সব সংশোধনী এনেছেন সেগুলো গ্রহণ করেছি। পরবর্তীসময়ে এগুলো ভোটে দিলে তাও কণ্ঠভোটে পাস হয়।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সারা বিশ্ব একটি ক্রান্তিকাল পার করছে যেখান থেকে আমরাও পরিত্রাণ পাইনি। পৃথিবীর অর্থনৈতিক এলাকায় সময়টি একটি অস্বাভাবিক সময়। স্বাভাবিক সময় হলে আমরা সদস্যদের প্রস্তাবনার অনেক কিছু বিবেচনা করতে পারতাম। কিন্তু এবারের পরিস্থিতির সার্বিক বিবেচেনায় সদস্যদের আনা বাকি সংশোধনী প্রস্তাবগুলি গ্রহণ করতে পারলাম না বলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।