ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার সকালে যাত্রীবাহী মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এ ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরাও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি রেজাউল করিম ভূঁইয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশগুলোর ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতলে নেওয়া হবে।
সোমবার সকালের এ দুর্ঘটনায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পরিচয় মিলেছে ৩০ মরদেহের। তারা হলেন- ১. সত্যরঞ্জন বনিক (৬৫), ২. মিজানুর রহমান (৩২), ৩. শহিদুল (৬১), ৪. সুফিয়া বেগম (৫০), ৫. মনিরুজ্জামান (৪২), ৬. সুবর্ণা আক্তার (২৮), ৭. মুক্তা (১২), ৮. গোলাম হোসেন ভুইয়া (৫০), ৯. আফজাল শেখ (৪৮), ১০. বিউটি (৩৮), ১১. ছানা (৩৫), ১২. আমির হোসেন (৫৫), ১৩. মো. মহিম (১৭), ১৪. শাহাদাৎ (৪৪), ১৫. শামীম ব্যাপারী (৪৭), ১৬. মিল্লাত (৩৫), ১৭. আবু তাহের (৫৮), ১৮. দিদার হোসেন (৪৫), ১৯. হাফেজ খাতুন (৩৮), ২০. সুমন তালুকদার (৩৫), ২১. আয়শা বেগম (৩৫), ২২. হাসিনা রহমান (৪০), ২৩. আলম বেপারী (৩৮), ২৪. মোসা. মারুফা (২৮), ২৫. শহিদুল হোসেন (৪০), ২৬. তালহা (২), ২৭. ইসমাইল শরীফ (৩৫), ২৮. সাইফুল ইলাম (৪২), ২৯. তামিম ও ৩০. সুমনা আক্তার।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটির নাম মর্নিং বার্ড। এটি একটি ছোট আকারের লঞ্চ। ময়ূর-২ নামে আরেকটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সেটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: নিহতদের পরিবার পাবে দেড় লাখ টাকা করে
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটে নোঙর করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওই সময় ঘাটে নোঙর করে থাকা ময়ূর-২ নামের আরেকটি লঞ্চ ঘুরানোর সময় সেটি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে মার্নিং বার্ড ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রীদের কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন।