প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভারত ও বাংলাদেশে তাণ্ডব চালিয়ে বিদায় নিয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় একশ’ জন, ঘরবাড়ি-গাছপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে বহু এলাকা। আম্ফান ছিল বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের ৬৪তম ঘূর্ণিঝড়। এরপর যে মহাপ্রলয় আসছে তার নাম হবে ‘নিসর্গ’।
নিসর্গ নামটি প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ফণী ঝড়েরও নামকরণ করেছিল এ দেশ। সেটিও প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিল বাংলাদেশে উপকূলে।
সাধারণত এ অঞ্চলে সৃষ্ট ঝড়গুলোর নামকরণ করত বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। এর সঙ্গে ২০১৮ সালে যুক্ত হয়েছে আরও পাঁচটি দেশ- ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। এই ১৩টি দেশ গত এপ্রিলে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়গুলোর জন্য ১৬৯টি নাম প্রস্তাব করেছে।
সেক্ষেত্রে আম্ফানের পরের ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম নির্ধারিত হয়েছে নিসর্গ (বাংলাদেশের প্রস্তাবিত), গতি (ভারতের প্রস্তাবিত), নিভার (ইরানের প্রস্তাবিত), বুরেভি (মালদ্বীপের প্রস্তাবিত), তৌকতাই (মায়ানমারের প্রস্তাবিত নাম), ইয়াস (ওমানের প্রস্তাবিত)।