ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলাধীন ডৌহাখলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামে তাসনিম ফিলিং স্টেশন থেকে ২০০গজ পশ্চিমে মো. ফজলুর রহমান এর পুত্র মো. শফি আলম ও ময়মনসিংহ সদরের চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর পুত্র মো. আবদুল মালেক যৌথভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ পুকুর ভাড়া নিয়ে পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করে করে আসছিলেন।
শুকনো মৌসুমে পাশের পুকুরগুলোতে পানি কমে যাওয়ায় মটর ব্যবহারে পুকুরের পাড় ভেঙে যাওয়ার আশংকায় শফি আলম বৈদ্যুতিক মটর অন করে গোসল করতে এলাকার সকলকে নিষেধ করেন। কিন্তু তার নিষেধ উপেক্ষা করে বুধবার(২৭ডিসেম্বর) বিকেল অনুমান ৩টার দিকে অন্যান্য দিনের মতো ফিশারী সংলগ্ন বিবাদী সুরুজ আলী(৫৫), মো. তারু মিয়া(২৭), মো রমজান আলী(৩০), ও মো. মন্নাস আলী(৫০) ফিশারীর পাড়ে থাকা বৈদ্যুতিক মটর চালু করে গোসল করতে দেখে শফি আলম তাদেরকে মটর চালু করার কারণ জানতে চাইলে সুরুজ আলীর ডাকে বিবাদীগণ সকলে একযোগে বলতে থাকে তাদেরকে গোসল করতে না দিলে পুকুরের মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলবে এবং এর জন্য তাকে চরম মূল্য দিতে হবে। এসময় শফি আলমের ডাক চিৎকারে বাবুল মিয়া, আ: সাত্তার ও অনিক মিয়াসহ আরও অনেকই ছুটে আসলে তাদের সামনেই পুকুর পাড়ে থাকা মাছের খাদ্যের বস্তা পানিতে ফেলে দেয় এবং যাওয়ার সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণ নাশের হমকি প্রদর্শন করে চলে যায়। সাক্ষীগণসহ এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় ঐদিন সন্ধ্যায় ফিশারী থেকে তিনি বাড়িতে চলে আসেন ।
বৃহস্পতিবার(২৮ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ফিশারীতে মাছ ভাসতে দেখে প্রাথমিকভাবে অক্সিজেনের ঘাটতি মনে করেন তিনি। কিন্তু পুকুরে পানিতে ভাসমান মৃত অর্ধমৃত মাছ হাতে নিয়ে বিষের ঘ্রাণ অনুভব করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আশপাশের লোকজনদের জানান।
এ ঘটনায় শফি আলম ও আব্দুল মালেক জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগে আনুমানিক ১৫(পনের) লক্ষাধিক টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এব্যাপারে শফি আলম বাদী হয়ে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে গৌরীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে, খবর পেয়ে সাংবাদিক দিলীপ কুমার দাস, লেখক ও সাংবাদিক সাইফুল আলম ও সাংবাদিক মো. মাসুদ আলম ভূইয়া ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।