তথ্য গোপন করে এনআইডি করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম।
এরপর আদালত ডা.সাবরিনার উপস্থিতিতে মামলার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর)শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম রিমান্ডের আবেদনে উল্লেখ করেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে ডা. সাবরিনার জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা প্রয়োজন।
আবেদনে পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় ডা. সাবরিনা কে বা কার সহায়তায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার এনআইডি নিয়েছেন এবং তার হেফাজতে অন্য কোনো ভুয়া এনআইডি কার্ড আছে কিনা, থাকলে তা উদ্ধারসহ প্রকৃত ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক যাচাই, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার চাহিদা মোতাবেক তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদসহ তাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ডা. সাবরিনা চৌধুরী তথ্য জালিয়াতি করে দুই এলাকায় ভোটার এবং দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন। তার দুটি এনআইডি-ই সচল এবং দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগে মামলা করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির চর্চা নেই, বাড়ছে ঝুকি
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ডা. সাবরিনার দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)জানায়। একটি চিঠি দিয়ে দুদক এর ব্যাখ্যা চায়। গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর দুদকের চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
করোনা পরীক্ষায় নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হন সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ। ওই মামলায় তাদের কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।