পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার উত্তর সাতখামার লক্ষীদ্বার কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি, ঔষুধ বিতরণে অর্থ আদায় এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অফিস খোলা থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ-ক্লিনিকটি খুলতে খুলতে সকাল ১০টা বাজিয়ে দেয়। আবার দুপুর ১টা বাজতে না বাজতেই বন্ধের তোড়জোড় শুরু করে।
দুপুর ১টার পর কোন রোগী চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসা না দিয়ে গালিগালাজ করেন। সরকারি ভাবে বিনামুল্যে বিতরণের জন্য ৩০ প্রকার ওষুধ সরবরাহ করলেও শুধু প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ঔষধ রোগীদের দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
দীপ্তি নামে এক নারী বলেন, আমি ১টার সময় ঔষধ আনতে গেছি, এ কারণে আমাকে ঔষধ দেয় নাই। নার্গিস দশটার সময় ক্লিনিকে আসে একটার সময় চলে যায়। একটার পরে গেলে ঔষধ দেয় না।
জয়া রাণী নামে চিকিৎসা নিতে আসা এক নারী বলেন, পাঁচ টাকা দিলে ঔষধ দেয়, টাকা না দিলে ঔষধ দেয়না। পায়ের ব্যাথার কারণে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের জন্য অনেকদিন ধরে ঘোরাঘুরি করতেছি কিন্তু ক্যালসিয়ামের একটা ট্যাবলেটও দেয় না।
হিরু নামে এক ব্যক্তি বলেন, টাকা ছাড়া ঔষধ দেয় না, দুই টাকা দিলে আরো গালি দেয়। একদিন টাকা নিয়ে না যাওয়ার কারণে আমাকে ফিরিয়ে দেয়।
বলোরাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি জুতা পরে ক্লিনিকে উঠার কারণে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং ঔষধ না দিয়ে পাঠিয়ে দেয়।
মুক্তারুল নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার বাড়ি পার্শ্ববর্তী গ্রাম কালমেঘ, ক্লিনিক থেকে এক কিলোমিটারও হবে না, আমি ঔষধ নিতে গেছি, অন্য এলাকা হওয়ার কারণে আমাকে ঔষধ দেয় নাই, কিন্তু নার্গিসের এলাকা বোদায়, তারপরেও সেখান থেকে মানুষ এসে ঔষধ নিয়ে যায়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তর সাতখামার লক্ষীদ্বার কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নার্গিস আক্তার বলেন, উপজেলার মিটিং ছাড়া প্রতিদিনই তিনি সময় মত অফিস করেন। যার যে ঔষধের প্রয়োজন তাকে সেই ঔষধ দেওয়া হয়।
আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, উত্তর সাতখামার লক্ষীদ্বার কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নার্গিস আক্তার পুরস্কার প্রাপ্ত সিএইচসিপি। আমি এমন কোন অভিযোগ পাইনি যদি এমন অভিযোগ পাই তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।