দেশে করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে এক বছর বা ৩৬০ দিন মেয়াদি বিশেষ রেপো (পুনঃক্রয় চুক্তি) চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সম্প্রতি বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়নে মুদ্রাবাজারে তারল্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুতর করার লক্ষ্যে ৬০ দিন মেয়াদি বিশেষ রেপো (পুনঃক্রয় চুক্তি) প্রচলন করা হলো।
এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান রেপো হারকে ভিত্তি ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতি ও মুদ্রা বাজারের তারল্য পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বিশেষ রেপোর (পুনঃচুক্তি) সুদের হার ও পরিমাণ অকশন কমিটি কর্তৃক প্রতি অকশনে নির্ধারিত হবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। অংশগ্রণকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠনের ধারণকৃত এসএলআরের অতিরিক্ত সরকারি সিকিউরিটিজ সাপেক্ষে জামানতযুক্ত রেপো লেনদেন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ট্রেজারি বিল ও বন্ডের অভিহিত মূল্যের ওপর যথাক্রমে ১৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ মার্জিন প্রয়োগ করে অভিহিত মূল্যের অবশিষ্ট অর্থ রেপো হিসেবে দেওয়া হবে। এ রেপোর বিপরীতে বন্ধকীকৃত সম্পূর্ণ সিকিউরিটিজ দায়মুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এই সিকিউরিটিজ অন্য কোনো ক্ষেত্রের জন্য জামানত বা সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে না। এর মাধ্যমে গৃহীত অর্থ সম্প্রতি ঘোষিত বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে এ রেপোর মাধ্যমে গৃহীত অর্থ বংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পূর্বানুমোদন ছাড়া সরকারি সিকিউরিটিজ ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিলে বিনিয়োগ করা যাবে না।
এ ব্যবস্থায় বিধিবদ্ধ জমা হারের (এসএলআর) অতিরিক্ত ট্রেজারি বিল ও বন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকে জামানত রেখে তহবিল নিতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিদ্যমান রেপোর সুদহারকে ভিত্তি ধরে বিশেষ রেপোর সুদের হার ও পরিমাণ নির্ধারিত হবে। বর্তমানে রেপোর সুদহার ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।
যে সুদহারে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়, তা-ই রেপো রেট বা নীতি সুদহার। বাজারে নগদ তারল্যের জোগান দিতেই মুদ্রানীতির এ গুরুত্বপূর্ণ টুলসটি ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।