অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি হবে দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন।
প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষিতে এবারের বাজেট গতানুগতিক হচ্ছে না। বরং সরকারের অতীতের অর্জন ও উদ্ভূত পরিস্থিতির সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যত পথ পরিক্রমা’ শিরোনামের এই বাজেটে সঙ্গত কারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্যখাত। পাশাপাশি কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির প্রতি দেয়া হচ্ছে অগ্রাধিকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এসব অগ্রাধিকার খাতের পাশাপাশি বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন প্রস্তাব থাকবে। ২০০৯ সাল থেকে একাধিক্রমে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটি হচ্ছে দ্বিতীয় বাজেট।
করোনা সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট অধিবেশনে মিডিয়া কাভারেজের জন্য সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার থাকছে না। এমতাবস্থায় সাংবাদিকদেরকে বাজেট ডকুমেন্টস সংসদ ভবনের বাইরে পশ্চিম পার্শ্ববর্তী মিডিয়া সেন্টার থেকে ৩ টা ১৫ মিনিটে বিতরণ করা হবে।
বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ-বিদেশ থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করা যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এভাবে প্রাপ্ত মতামত ও সুপারিশ বিবেচনায় নেয়া হবে। জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে বিবেচিত প্রস্তাব কার্যকর করা হবে।
এছাড়া বাজেটকে ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক করতে সরকারের কয়েকটি ওয়েবসাইট লিংক ব্রাউজ করে বাজেট সংক্রান্ত তথ্যাদি পাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। ওয়েবসাইটের ঠিকানাসমূহ হলো;
www.bangladesh.gov.bd