গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্য থাকলে তা পরের মাসে সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুত ব্যবহারকারীরা ভূতুড়ে বিলের রশিদে পাচ্ছেন- গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ শনিবার গ্রাহকদের বিষয়টি অবগত করে।
তারা জানায়, স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিলের সামঞ্জস্য রেখে বিল দেয়া হচ্ছে। মহামারি করোনার কারণে গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না।
সংস্থা থেকে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কোনো কোনো গ্রাহকের মধ্যে কিছু বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, মহামারি করোনার কারণে বর্তমানে অনেক গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে মিটার রিডিং নিয়ে বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করা হচ্ছে না।
এর পরিবর্তে দেশের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বাধ্যবাধকতার ফলে গ্রাহক এবং বিদ্যুৎ কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আগের মাসের অথবা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের বিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিল দেয়া হচ্ছে।
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিষয়টি অবগত করে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ‘প্রাক্কলিত বিলের সাথে গ্রাহকের প্রকৃত বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ কম বা বেশি অথবা কোনো অসামঞ্জস্য দেখা দিলে পরবর্তী মাসের বিলের সাথে তা সমন্বয় করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ব্যবহৃত বিদ্যুতের বেশি বিল গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে না।’
সরকার ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণ রোধে গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাসুল মওকুফ করেছে। ফলে কোনো প্রকার বিলম্ব মাসুল ছাড়াই ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিল আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা যাবে।
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কারও জিজ্ঞাসা বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানোর অনুরোধ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এছাড়া ব্যাংকে বিল পরিশোধের পাশাপাশি সুবিধা অনুযায়ী বিকাশ, নিজস্ব বুথ বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিল পরিশোধের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে তারা।