জার্মানি থেকে মার্কিন সেনা দ্রুত কমানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দেশটিতে মোতায়েনকৃত সাড়ে ৩৪ হাজার মার্কিন সেনার মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং অন্যান্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম।
পেন্টাগনের এ সিদ্ধান্তে ইউরোপের প্রতিরক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিশাল এক ভু- রাজনৈতিক পরিবর্তন আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে জার্মানির সাথে মার্কিন বিরোধ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
ইউরোপের অন্য যে কোন দেশের চেয়ে জার্মানিতেই বেশি মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হারের পরে যুদ্ধকালীন এক চুক্তির ফলাফল সরূপ জার্মানি এখন পর্যন্ত মার্কিন সেনাদের ভার বহন করে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, জার্মানিসহ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মিত্ররা তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় না করার ফলেই পেন্টাগন এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এজন্য বরাবরই দেশগুলোর ওপর চাপ দিয়েও কোন লাভ হয়নি।
কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল-এর গত বছরের ন্যাটো সংক্লান্ত এক চুক্তিতে ছাফ জানিয়ে দেন তার সরকার এখন থকে বার্ষিক বাজেটের ২ শতাংশের বেশি এই খাতে খরচ করতে রাজি না। সে থেকেই ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক সম্পর্কের টানা-পোরান শুরু হয়।
ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে শুরু করে ন্যাটোর অবদান এবং রাশিয়ার গ্যাস পাইপলাইনের জন্য বার্লিনের সমর্থনকে দিন দিন জার্মান- মার্কিন সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-কে জানিয়েছেন, দৃশ্যত জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল-এর সঙ্গে ট্রাম্পের বিদ্যমান মতবিরোধ ও উত্তেজনার ফলেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউস। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের কিছু করার ছিল না।
ঠিক এমন এক মুহূর্তে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প যার কদিন আগেই জি সেভেন সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন মের্কেল।এর আগে গত মার্চে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য করোনার ভ্যাকসিন তৈরির ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জার্মানির একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
দ্বিতীয় বিশ্ব-যুদ্ধের পরে এটাই হবে ,মার্কিন-জার্মান সম্পর্কের সবচেয়ে খারাপ সময়।