সম্প্রতি বিমান ও বিজিবির ১১৮৪ জন সামরিক গেজেটে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধার সনদ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাতিল করায় আপত্তি জানিয়েছে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ।
প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসারের পক্ষে উইং কমান্ডার মহম্মদ বজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আপত্তির কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর সামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের বেসামরিক গেজেটে নাম প্রকাশের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হওয়ায় অনেকেই এখন জীবিত নেই। যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের উত্তরাধিকারের পক্ষ থেকে সেসব সরবরাহ করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহনীর সদস্যরা দীর্ঘ যাচাই বাছাই করে সামরিক গেজেটভুক্ত করে রাখা হয়েছে।
২০১৭ সালে সার্কুলারে যাচাই প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা সশস্ত্রবাহিনীর সামরিক গেজেটনভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের। বিদ্যমান অবস্থায় মহানমুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্রবাহিনী সদস্যদের গুরুত্ববহ ভূমিকা স্মরণে রেখে সামরিক গেজেটনভুক্ত সকল অমুক্তিযোদ্ধাকে বেসামরিক গেজেটভুক্ত করার পক্ষে মত দেয়া হয় ওই চিঠিতে। সামরিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা যাতে কোন ভোগান্তি হয়রানীর শিকার না হন, সরকার প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত না হন সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার কথা বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের সরকারি আদেশে ১৯৭১ সালের পরে যেসব মুক্তযোদ্ধা সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন তাদের বা সামরিক গেজেটভুক্ত মুক্তযোদ্ধা নিয়ে কোন বিতর্ক হলে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে যাচাই বাছাই করে করনীয় ঠিক করার কথাও বলা আছে সেটি স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় ওই চিঠিতে।
চিঠিতে বলা হয় নতুন করে তালিকাভুক্তির দূরুহ প্রক্রিয়ায় মুক্তযোদ্ধা বা তাদের উত্তরাধিকারিগণের ভোগান্তি ও হয়রানীর আশংকা প্রকাশ করা হয় ওই চিঠিতে। গত ৭ জুন চিঠিটা স্বাক্ষরিত হয়।