হাতের মেহেদি মুছে যেতে না যেতেই মরিয়ম পাষন্ড স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে সাতদিন হাসপাতালে জীবন সন্ধিক্ষণে লড়াই করে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের মালগাড়া গ্রামের মৃত মোস্তফার মেয়ে।৭ মাস আগে একই উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল হামিদের ছেলে সোহাগের সাথে মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সোহাগ যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নানা ভাবে নির্যাতন করতো। ঘটনার দিন গত ঈদুল আযহার দু’দিন পরে ৩ আগস্ট সকালে স্ত্রীকে কোন প্রকার ভরণপোষণের টাকা পয়সা না দিয়েই বাড়িতে একা রেখে সোহাগ ঢাকা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এ সময় মরিয়ম বাদ সাধলে কথার কাটাকাটির পর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে পিছন দিক থেকে কোমরে রক্তাক্ত জখম করে। এতে মরিয়ম চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাড়ির অন্যান্য লোকজন সোহাগকে আটক করে থানায় সংবাদ দেয়।
সংবাদ পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সোহাগকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সোহাগসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে একটি মামলা রুজু করে । আটক সোহাগকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
মুমূর্ষু অবস্থায় মরিয়মকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তিকরে। অবস্থার বেগতিক দেখে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ৭ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে গতকাল সকালে সে মারা যায়। লাশ ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় লাশ পিতার বাড়ি মালগাড়ায় পৌছলে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে পারিবারিক ভাবে দাফন করা হয়। কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।