গাম্বিয়া বনাম মিয়ানমার এর মধ্যকার রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক বৈচারিক আদালতে আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যা সম্পর্কিত সকল কাগজ পত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল গাম্বিয়ার। কিন্তু করোনা-পরিস্থিতির কারণে গাম্বিয়া কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময়ের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেছেন।
এ মামলায় ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে মামলা সংক্রান্ত তাদের সকল তথ্যাদি ও কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বৈচারিক আদালত গত ২৩ জানুয়ারি আদেশ জারি করেন।
মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে আন্তর্জাতিক বৈচারিক আদালত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গাম্বিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুলাইয়ের পরিবর্তে আগামী ২৩ অক্টোবর তাদের কাগজ জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিয়ানমার তাদের সাক্ষ্যপ্রমাণ আগামী বছরের ২৩ জুলাই উপস্থাপন করবে।
গত ২৪ এপ্রিল গাম্বিয়া লিখিতভাবে সময় বাড়ানোর আবেদন করলে এ বিষয়ে মিয়ানমার কোন আপত্তি না করে আদালতকে তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা জানায়।
এদিকে ২৩ মে মিয়ানমার রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে তাদের প্রথম প্রতিবেদন আদালতের কাছে জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা শুনেছি তারা একটি গোপন প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে।’
ওই প্রতিবেদনের একটি কপি গাম্বিয়াকেও দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মামলায় বাংলাদেশ কোনও পক্ষ না হওয়ায় আমরা উক্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারতেছি না।’
উল্লেখ্য যে গাম্বিয়া ও মিয়ানমার দু-দেশই ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ যা শুধু দেশগুলোতে গণহত্যা থেকে বিরত থাকা নয়, বরং এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ এবং অপরাধের জন্য বিচার করতে বাধ্য করে। সেই সূত্রে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর রাখাইনে রোহিঙ্গা দমনকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বৈচারিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।