লালমনিরহাটে সেতুর অভাবে দুই গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ


গ্রামের এক প্রান্তে বাঁশের সাঁকো অপর প্রান্তে নৌকা। কেউ পার হচ্ছেন নৌকায় আবার কেউ জীবনের ঝুকি নিয়ে পার হচ্ছেন বাঁশের সাঁকো দিয়ে। আর এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ। তবে বর্ষা মৌসুমে দুই পাড়ের মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
সরেজমিনে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা নামক এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। ইউনিয়নের
মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে রত্নাই নদী। নদীর দুই পাড়ে শিবেরকুটি ও ধাইরখাতা গ্রামে বাস করেন ১৫ হাজার মানুষ। ইউনিয়নকে দুই ভাগে
বিভক্ত করেছে নদীটি। ইউনিয়নের মানুষ দীর্ঘদিন থেকে ওই নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসলেও কোন ফল হয়নি। তাই
প্রতি বছর গ্রাম থেকে বাঁশ ও অর্থ কালেকশন করে নদীর উপর তৈরী করে বাশেঁর সাঁকো। আর এই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী
পাড় হয় কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তবে বর্ষা মৌসুমে পরতে হয় চরম দূর্ভোগে। প্রতি
বছরেই বর্ষা মৌসুমে নদীর স্রোত বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যায়। তখন নদী পাড়াপাড়ে নৌকাই তাদের একমাত্র ভরসা।
মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে রত্নাই নদী। নদীর দুই পাড়ে শিবেরকুটি ও ধাইরখাতা গ্রামে বাস করেন ১৫ হাজার মানুষ। ইউনিয়নকে দুই ভাগে
বিভক্ত করেছে নদীটি। ইউনিয়নের মানুষ দীর্ঘদিন থেকে ওই নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসলেও কোন ফল হয়নি। তাই
প্রতি বছর গ্রাম থেকে বাঁশ ও অর্থ কালেকশন করে নদীর উপর তৈরী করে বাশেঁর সাঁকো। আর এই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী
পাড় হয় কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তবে বর্ষা মৌসুমে পরতে হয় চরম দূর্ভোগে। প্রতি
বছরেই বর্ষা মৌসুমে নদীর স্রোত বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যায়। তখন নদী পাড়াপাড়ে নৌকাই তাদের একমাত্র ভরসা।
স্থানীয়রা জানান, দুই গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায়
কৃষকরা হন ক্ষতির সম্মুখীন। রোগীসহ পণ্য পরিবহনের জন্য বিকল্প পথে ৫-৬ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে বেড়ে
যায় পরিবহন খরচ।
কৃষকরা হন ক্ষতির সম্মুখীন। রোগীসহ পণ্য পরিবহনের জন্য বিকল্প পথে ৫-৬ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে বেড়ে
যায় পরিবহন খরচ।
ওই এলাকার বাসিন্দা জালাল হোসেন,রমজান আলী জানান, এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ জরুরী। গ্রামের এপারের অনেকের জমি
রয়েছে ওপারে আবার ওপারের অনেকের জমি রয়েছে এপারে। ফলে উৎপাদিত পণ্য পারাপারে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা। এছাড়া
গ্রামে এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস প্রবেশ করতে না পারায় রোগী নিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। একটি সেতুর জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে
বার বার আবেদন জানিয়েও সাড়া পাইনি।
রয়েছে ওপারে আবার ওপারের অনেকের জমি রয়েছে এপারে। ফলে উৎপাদিত পণ্য পারাপারে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা। এছাড়া
গ্রামে এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস প্রবেশ করতে না পারায় রোগী নিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। একটি সেতুর জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে
বার বার আবেদন জানিয়েও সাড়া পাইনি।
তবে নদীতে ব্রীজ নির্মাণ হলে শিবেরকুটি, দক্ষিণ শিবেরকুটি, বনগ্রাম, ধাইরখাতাসহ আশপাশের গ্রামের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন
হবে। বদলে যাবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
হবে। বদলে যাবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান জানান,মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার,গ্রামীন
রাস্তা সংস্কার।তাই মুজিব বর্ষেই গ্রামের সকল রাস্তাঘাট মেরামত,সেতু কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
রাস্তা সংস্কার।তাই মুজিব বর্ষেই গ্রামের সকল রাস্তাঘাট মেরামত,সেতু কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।