চট্টগ্রাম জোরারগঞ্জে বিএসআরএম কারখানায় কাজ করার সময় লোহার গলিত সিসায় দগ্ধ হয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় কারখানার ফ্লোর ইনচার্জকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৭ জুন) দুপুরে জোরারগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আবুল কাশেমের শ্যালক আবদুর রহিম।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া শ্রমিক কাশেমের শ্যালক দুপুরে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলা জনিত অপরাধে মৃত্যুর অভিযোগের কথা উঠে আসছে। এতে কারখানার ফ্লোর ইনচার্জকে আসামি করে ইতোমধ্যে মামলা রুজু করা হয়েছে। এখন তদন্তে দুর্ঘটনার আসল কারণ খতিয়ে দেখা হবে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে সংঘঠিত দুর্ঘটনায় পাঁচ শ্রমিক তপ্ত লোহার সিসায় দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান কাশেম নামের এই শ্রমিক৷ পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতে দগ্ধ চার শ্রমিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় মাঝপথেই নজরুল ইসলাম (২৪), গিয়াস উদ্দিন (২৪) নামের আরও দুই শ্রমিক মারা যায়। তবে ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয় নুর হোসেন (৩০), মহিউদ্দিন (২৮) নামের অপর দুই শ্রমিককে।