সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দিন আনে দিন খায়, গরিব, অসহায় মানুষ, কর্মহীন মানুষ অনেক কষ্টে আছেন। অথচ জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ চেয়ারম্যান মেম্বার ও আওয়ামী লীগের নেতারা চুরি করছে । আত্মসাৎ করছে। কি অদ্ভুত ব্যাপার। মানুষ মরছে, হাহাকার করছে কাজে যেতে পারছে না আর সরকারের লোকেরা ত্রাণ চুরি করছে।
আজ রোববার সকালে ময়মনসিংহের পাইথোলিন ইউনিয়নে জেলা বিএনপি´র যুগ্ম আহ্বায়ক ডাক্তার মোফাখখারুল ইসলাম রানার উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ লাখ লোককে ১ হাজার২৫৭ কোটি টাকা দেবেন। আমরা এখন খবর দেখছি সরকারের লোকেরা প্রতি জনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা রেখে দুই হাজার টাকা দিচ্ছে।আবার যারা তালিকা করছেন তাদের নিজস্ব লোক আত্মীয়-স্বজনদের নাম তালিকায় দিচ্ছেন। গরিব মানুষের নাম তালিকায় থাকে না। তালিকা এমন ভাবে করেন যেন প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আছে কর্মচারীর নাম নেই। এটা কোন কাজ হতে পারে ? তাহলে কোন পরিস্থিতি বিরাজ করছে একবার চিন্তা করুন ? এটা তো জনগণের টাকা। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের টাকা নয়।মহাদুর্যোগের মধ্যেও গরিব অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হলে তাহলে তারা কোথায় যাবে। তারা তো না খেয়ে মারা পড়বে।
তিনি বলেন, চীনে জানুয়ারি মাসে করোনা মহামারী শুরু হয়। তখন থেকে আমাদের দেশে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার ছিল। বাংলাদেশ সরকার সে পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যান্য অনেক দেশ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা ভালো আছে। আর বাংলাদেশ পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতিদিন এক হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন লোক মারা যাচ্ছে। সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণের সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পকেটের টাকা দিয়ে সারাদেশে অসহায় গরীব মানুষকে ত্রান দিচ্ছে। আমরা এমনিতেই বিপদে আছি। আমাদের রাস্তায় দেখলে গ্রেপ্তার করা হয়। গুম করে নিয়ে যায়।এই অবস্থার মধ্যেও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন যতই বিপদ আসুক অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে হবে। এজন্য আমরা সারাদেশে সর্বদা মানুষের পাশে আছি এবং থাকব।