এ মাসেই আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে ভারতের শশাঙ্ক মনোহরের। ২০১৬-তে আইসিসির প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া মনোহর আগেই জানিয়েছিলেন নতুন করে এই দায়িত্বে আর থাকবেন না। এদিকে ভারত ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির মেয়াদকাল বাড়বে কি না তা এখনো জানা যায়নি। বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট আইন সংশোধনী পাস হওয়াটা আদালতের অনুমতির অপেক্ষায়। তাহলে নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সময় বাড়ার অপেক্ষায় থাকা গাঙ্গুলি কি আইসিসির চেয়ারম্যানের চেয়ারের দিকে তাকিয়ে আছেন?
ভারতের সাবেক অধিনায়ক নিজে সেই চেষ্টা করছেন কি না তা জানা যায়নি। তবে তার প্রতি সমর্থন যে শুরু হয়েছে সেটা পাক্কা। ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট পরিচালক গ্রায়েম স্মিথের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন গাঙ্গুলি। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক স্মিথ বলেছেন, আইসিসির পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে সৌরভকে দেখতে চান। বলেন, ‘আইসিসির নেতৃত্বে একজন যোগ্য লোকের বসাটা খুবই দরকার।’ একটি টেলিকনফারেন্সে বৃহস্পতিবার স্মিথ বলেছেন, ‘কভিডপরবর্তী সময়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসনে যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। সময় এসেছে এমন একজনকে দায়িত্ব দেওয়ার যে আধুনিক ক্রিকেটের সংস্পর্শে আছে, আবার যার মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণটাও আছে।’
শুধু স্মিথ নয়, ইংল্যান্ড থেকেও সমর্থন পেয়েছেন সৌরভ। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ডেভিড গাওয়ারও বলেছিলেন, ‘আইসিসিকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য লোক হলো সৌরভ। ও খুবই ভালো মানুষ। তাছাড়া ওর সেই ক্ষমতাটাও আছে।’ পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচনের ব্যাপারটা নিয়ে ২৮ মে আইসিসির বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। মনোহর সরে দাঁড়ালে তার জায়গায় কে আসতে পারেন, তার ইঙ্গিত তখনই পাওয়া যেতে পারে।
টেলিকনফারেন্সে স্মিথ বলেছেন, ‘দারুণ লাগবে যদি সৌরভ আইসিসির নেতৃত্বে আসে। সৌরভ আইসিসির প্রেসিডেন্ট হলে ক্রিকেটেরই উপকার হবে। সৌরভ খেলাটা খুব ভালো বোঝে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটও খেলেছে। তা ছাড়া ওকে সবাই সম্মানও করে।’ পাশাপাশি স্মিথ জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এক বছর পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে ‘বিশ্বকাপের আগে ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে, যা করোনার কারণে এখন হওয়ার সুযোগ নেই। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী বছর হলেই ভালো হবে।’
আইসিসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ সমর্থন পান কি না তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে বিসিসিআই। প্রথম হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হাত করেছে তারা। সে কারণেই আইসিসি ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের বাইরে থেকে প্রোটিয়াদের দেশে গিয়ে একটি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। ইন্টারনেট।