করোনা মহামারির মধ্যে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রবাসী-আয়। পবিত্র ইদুল ফিতরকে সামনে রেখে রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে ১১২ কোটি ১০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন তারা, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৯ হাজার ৫২০ কোটি টাকা (১ ডলার সমান ৮৫ টাকা)।
গত এপ্রিলে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। রেমিটেন্সের এ ঊর্ধ্বগতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ফের ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রভাবে বিশ্ব এখন সংকটে। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়ে রেমিটেন্সেও। আশঙ্কা ছিল, আমদানি ও রফতানি আয়ের মতো অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রেমিটেন্সও তলানিতে নামবে কিন্তু তা হয়নি। গত মার্চ থেকেই রেমিটেন্স কমে আসছিল। আশাবাদী ছিলেন না অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররাও। অতীতে অন্য ইদের মাসের চেয়ে চলতি মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। প্রতি বছরের মতো গত বছরও রোজার ইদের আগে মে মাসে ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড রেমিটেন্স এসেছিল। করোনার মহামারির মধ্যে অনেক প্রবাসী শ্রমিকের দেশে ফিরে আসা এবং যারা এখনও রয়েছেন তারাও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।
এসব রেমিটেন্স নিয়ে আশাবাদী না হওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। গত মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল, যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। পরের মাস এপ্রিলে রেমিটেন্স আরও কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে আসে, তাও গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। কিন্তু মে মাসে চিত্র পাল্টাতে থাকে। প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিটেন্স আসে, ১৩ মে পর্যন্ত আসে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ১৪ মে পর্যন্ত আসে ৮০ কোটি ডলার। ২১ মে তা ১১২ কোটি ১০ লাখ ডলারে পৌঁছে। মহামারির প্রভাব শুরুর আগে রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশের উপরে ছিল।