অবশেষে পাউবোর সেই বেড়িবাঁধে বসানো হলো পাইপ, জনমনে স্বস্তি; ইউএনও’র পরিদর্শন

ছবি: মর্নিং নিউজ বিডি

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলাধীন উজানটিয়া ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর বেড়িবাঁধে অবশেষে বসানো হলো বহুল কাঙ্ক্ষিত উন্নত প্রযুক্তির পাইপ, যা এতদিন এই অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণের দাবি ছিল। এলাকার কিছু সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় চাষিদের জিম্মি করে চাষের জমি অনাবাদী রেখেছিল।

সোমবার (৮ জুন) সকালে উজানটিয়া নদীর মোহনায় বেড়িবাঁধের নিচে এ উন্নত প্রযুক্তির পাইপ (স্থানীয় ভাষায় নাসি) বসানো হয়। বিকেলে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈকা সাহাদাত পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এরিয়া কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিনকে সাথে নিয়ে এই পাইপ পরিদর্শন করেন।

ইউএনও সাঈকা সাহাদাত মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন, স্থানীয় কিছু মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। পাউবোকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য পাইপটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।

প্রতিবেদনের বিষয়ে পাউবোর এরিয়া কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। বেড়িবাঁধ ও মানুষের জন্য ইতিবাচক বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হবে।

পাইপটি স্থাপনের ফলে জনমনে স্বস্তি ও আশার সঞ্চার হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ছিন্নমূল চাষীদের জিম্মি করে ২৫০ একরের মতো জায়গা অনাবাদী করে রেখেছে। পাইপটি বসানোর ফলে ন্যায় ও নিষ্ঠার কাছে পুঁজিবাদী অশুভ শক্তির পরাজয় হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার স্থানীয় চাষিদের উদ্যোগে পাইপ বসাতে গেলে মীর মোশারফ হোসেন গং ও আনোয়ার হোসাইন এজারুলের নেতৃত্বে বাধা দেওয়া হলে স্থানীয় চাষিদের প্রতিরোধে মুখে তারা ফিরে যায়। পরবর্তীতে সোমবার চাষিরা এই পাইপ (নাসি) বেড়িবাঁধের নিচে স্থাপন করেন।

প্রসঙ্গত, টানা তিন বছর ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের চক্রান্তে পানি নিষ্কাশনের অভাবে ২৫০ একরের চিংড়ি ঘের ও লবণ চাষের উপযোগী এই ভূমি অনাবাদি ছিল; যার কারণে কেবল এই অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে তা-ই নয়, জাতীয় অর্থনীতিতেও এই সঙ্কট প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করে স্থানীয় সচেতন সমাজ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *