ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়ার সিদ্ধান্ত

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের জরুরি কাজে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

তিনি বলেন, ‘সে লক্ষ্যে আগামী ৩০ মে’র মধ্যে সকল নির্বাহী প্রকৌশলীদের স্ব স্ব এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা এবং পোল্ডারসমূহের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

রবিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর গ্রীণরোডে যৌথনদী কমিশনের সভাকক্ষে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

সভায় জানানো হয়, উপকূলাঞ্চলে ব্যাপকভাবে শস্যহানি না হলেও প্রায় ১ লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে রয়েছেন। যার মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে পানি নিষ্কাশন অব্যবস্থাপনা ও পুরাতন বাঁধ।

এছাড়া খুলনার কয়রা, দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার আনুমানিক ১৭০ জায়গায় প্রায় ৯৯টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ ও ২৩ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা পরিদর্শন করেন পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার। পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন এবং মোতায়েন করা সেনাপ্রতিনিধিদের সাথে সভা করেন।

সভায় পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুণর্বাসনের তার সফর বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।

এ সময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ মে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর এলাকা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে যাবেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

এর আগে গত ২২ মে হেলিকপ্টারে করে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *