প্রস্তাবিত বাজেটকে সময়ের সাহসী ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রস্তাবিত বাজেটকে সময়ের সাহসী ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, অতীতে শত সমালোচনা আর প্রতিকুলতার মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের দেয়া সব বাজেট ধারাবাহিকভাবে শতকরা ৯৭-৯৮ ভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এ সাফল্য অর্জন করার সক্ষমতা প্রমাণ করে এবারের বাজেটও বাস্তবায়ন অবশ্যই সম্ভব হবে।

তথ্যমন্ত্রী আজ সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।

আলোচনার শুরুতে তিনি আজ ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, একটি সৃষ্টিশীল স্ফুলিংয়ের নাম। বাঙালি জাতি ও রাষ্ট্রের অনেক গৌরবজনক অর্জন এ দলটির নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভ। স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় দেয়া হয়েছিল।ঘৃন্য ঘাতকরা তাঁকে হত্যা না করলে স্বাধীনতা লাভের ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ আজকের মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর চেয়ে উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিনত হতো।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৪ ভাগ, যা এর পরের ৪০ বছরেও অতিক্রম করা সম্ভব হয়নি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ, দারিদ্র হার ৪১ থেকে কমে ২০ শতাংশ এবং অতিদারিদ্র হার ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

তিনি বিএনপির হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাবে বলেন, বর্তমান সরকারের উচ্চাবিলাস আছে বলেই সরকারের অতীতের সব বাজেট সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। আর এ সাফল্যের মধ্য দিয়া আর্থ-সমাজিক সব ক্ষেত্রে বড় বড় অর্জন সম্ভব হয়েছে। উচ্চাবিলাস ছিল বলেই মাথাপিছু আয় ৬শ ডলার থেকে ২ হাজার ৯ ডলারে উন্নীত ও গত বছরের তুলনায় সাড়ে ৬ গুন বেশী বাজেট প্রদান সম্ভব হয়েছে। আর প্রস্তাবিত বাজেটে এবার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে প্রথম বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্ততা ভাতার মতো অনগ্রসর জনগণের জন্য ভাতা বা আর্থিক সহায়তার এ নিয়ম চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের বছর এ সব খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ৮৮ হাজার এবার তা বাড়িয়ে ২ কোটির বেশি করা হয়েছে।

কোভিড- ১৯ মোকাবেলার বিষয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্পদ ও সামর্থের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার করোনা মোকাবেলায় সবকিছু করছে। যার ফলে মৃত্যু হারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত দেশ সমূহ থেকে অনেক কম। এমনকি প্রতিবেশি ভারত, পাকিস্তানের তুলনায় কম রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে তিনি জানান, করোনায় চীনে মৃত্যু হার ৫.৫, যুক্তরাষ্ট্রে ৫.১৩, যুক্তরাজ্যে ১৩.৯৭, বেলজিয়ামে ১৫ ভাগ, জর্মানি ৪.৬৬, ভারত ৩.১৮, পাকিস্তান ২.০০ শতাংশ। আর বাংলাদেশে এ হার ১.২৯ শতাংশ।

বাজেট আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি, সরকারি দলের মির্জা আাজম, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন,আমিরুল ইসলাম মিলন, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, জাসদের হাসানুল হক ইনু, বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা অংশগ্রহণ করেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *