করোনা আক্রান্ত হয়ে কিংবা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে পাড়া প্রতিবেশী অনেক দূরের বিষয় স্বয়ং আত্মীয় স্বজন লাশ ফেলে পালিয়েছে। গত দুই মাস ধরে এমন ঘটনা সমগ্র দেশের আনাচে-কানাচে ঘটেছে প্রতিনিয়ত। তখন লাশ দাফনে সৎকারে এগিয়ে এসেছে পুলিশ কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এবার এমন এক ঘটনায় অভূতপূর্ব দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করল আওয়ামিলীগের কর্মীরা।
চট্টগ্রামের রাউজানের ২নং ডাবুয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও স্থানীয় বিএনপি নেতা সন্তোষ ধর করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার মারা যান। পরে শ্মশানে সন্তোষ ধরের সৎকার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা সন্তোষ ধরের মরদেহ তাদের পারিবারিক শ্মশানে সৎকার করেন। রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সৎকারে সহযোগিতা করে।
আরও পড়ুন: রাস্তায় চাকরির বিজ্ঞাপন, তবুও বেকারত্ব
রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রাউজান পৌরসভার ২য় প্যনেল মেয়র স্বেচ্ছাসেবক টিমের প্রধান সমন্বয়ক জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও করোনার উপসর্গ নিয়ে রাউজানে যেসব ব্যক্তি মারা গেছেন, তাদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সর্মথকও রয়েছেন। বর্তমানের সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মতাদর্শের ভেদাভেদ ভুলে সন্তোষ ধরের মরদেহের সৎকার করে আওয়ামীলীগ কর্মীরা মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যা পরবর্তীতে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির বার্তা হিসেবে কাজ করবে।