বিশাল অঙ্কের বাজেট ঘাটতি মেটাতে এবার সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষমাত্রা ছিল ২৭ হাজার কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশের সময় এই লক্ষ্যের কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট ঘাটতি পূরণে প্রতিবছরই দুইভাবে ঋণ নিয়ে থাকে সরকার। এর একটি হচ্ছে বৈদেশিক সহায়তা, অপরটি অভ্যন্তরীণ উৎস। অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ঋণ নেওয়া হয়। এই ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।
- আরও পড়ুন: যে-সব পণ্যের দাম বাড়বে এবং যেগুলোর কমবে
জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের মতে, আগের অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭ কোটি টাকা। বিক্রি না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
তবে জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ৯ হাজার ৬৬৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্রের সুদ হার সর্বোচ্চ ১১ দশমকি ৫২ শতাংশ। বিনিয়োগটা নিরাপদ হওয়ার কারণে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ হতো আগের বছরগুলোতে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে কাড়াকড়ি আরোপ করায় ব্যাপক হারে কমে গেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি।