পদ্মা সেতুর ৩৬ তম স্প্যানটি ৩৫ তম স্প্যান স্থাপনের পাঁচ দিন পরে গত শুক্রবার বসানো হল, যার মাধ্যমে মূল সেতুর ৫.৪ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান।
৩৫তম স্প্যানটি বসানোর ৭ দিনের মাথায় এই স্প্যান বসানো হলো। সম্পূর্ণ সেতু দৃশ্যমান হতে বাকি রইল আর মাত্র ৫টি স্প্যান। গত ৩১ অক্টোবর ৩৫তম স্প্যানটি বসানো হয়েছিল।
তথ্য অনুযায়ি ৩৩ তম স্প্যানটি ১১ ই নভেম্বর , ৩৮ তম স্প্যানটি ১৬ নভেম্বর এবং ৩৯ তম স্প্যান ২৩ নভেম্বর স্থাপন করা হবে।
গত মাসে বসানো হয় ৪টি স্প্যান। এই মাসেও ৪টি স্প্যান বসানোর কথা আছে।
এরইমধ্যে ২৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ১১৬৬টি ও ২৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১৬৪৬টির বেশি বসানো হয়ে গেছে।
এর আগে, ৩১ শে অক্টোবর সেতুর ৩৫ তম স্প্যানটি স্থাপন করা হলে ৫২.২ কিলোমিটারেরও বেশি দৃশ্যমান ছিল।
৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দোতলা এই ব্রিজটিতে মোট ৪১ টি স্প্যান লাগানো হবে ।
২০২১ সালে বহুমুখী পদ্মা সেতুটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত এই প্রকল্পের বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৯০ দশমিক ৫০ ভাগ । আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৮ দশমিক ০৩ ভাগ। এ বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ৭৯৬ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। সংশোধিত তারিখ অনুসারে ২০২১ সালের জুন মাসে সেতুর সব ধরনের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।