আউটশাইনস ভারত ও পাকিস্তান ১০ 10 টি দেশের মধ্যে th৫ তম স্থানে রয়েছে
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০২০ তে বাংলাদেশ ১০7 টি যোগ্যতা অর্জনকারী দেশের মধ্যে 75৫ তম স্থান অর্জন করেছে।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে (জিএইচআই) এর চলতি বছরের ফলাফলে ১০৭টি দেশের মধ্যে ২০.৪ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫ তম। ২০১৯ সালে ১১৭ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮ তম। ফলে এক বছরে ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের ১৩ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান (৮৮ তম), ভারত (৯৪ তম) ও আফগানিস্তানের (৯৯ তম) চেয়েও বাংলাদেশ ভাল করেছে।
১২ ই অক্টোবর কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে যৌথভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যৌথভাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে চলতি বছরের ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে’ এসব তথ্য উঠে এসেছে।চলতি বছরের ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে’ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ইউরোপের দেশ বেলারুশ। আর তালিকার সর্বশেষ দেশটি হচ্ছে আফ্রিকার চাদ।
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০.৪ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশে অবশ্য ক্ষুধার মাত্রা রয়েছে তা মারাত্মক। এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে শ্রীলঙ্কা (৬৪ তম) এবং নেপাল (৭৩ তম) অবস্থান পাওয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে ভাল করেছে।
বিশ্ব ক্ষুধাসূচকের মাধ্যমে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের ক্ষুধার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার হিসাব করে ক্ষুধার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বৈশ্বিক, আঞ্চলিক বা জাতীয়—যেকোনো পর্যায়ে ক্ষুধার মাত্রা নির্ণয় করতে এই সূচকগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিশ্ব ক্ষুধাসূচকের এই বছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ১৭টি দেশের স্কোর ৫ এর কম অর্থাৎ এসব দেশে ক্ষুধার মাত্রা সবচেয়ে কম। এসব দেশের মধ্যে আছে বেলারুশ, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ব্রাজিল, চিলি, চীন, কোস্টারিকা, ক্রোয়েশিয়া, কিউবা, এস্তোনিয়া, কুয়েত, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মন্টেনিগ্রো, রোমানিয়া, তুরস্ক, ইউক্রেন ও উরুগুয়ে।
এবারের বিশ্ব ক্ষুধাসূচক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বব্যাপী ৬৯ কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। ১৪ কোটি ৪০ লাখ শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন কম। ৪ কোটি ৭০ লাখ শিশু প্রচণ্ড অপুষ্টিতে ভুগছে।