দেশে স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যা থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের জন্য নির্ধারিত পণ্যাগার ভাড়ায় ধস নেমেছে। গেল ২০১৯-২০ অর্থ বছরে পণ্যাগার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৫ কোটি ৮ লাখ টাকা। তার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৮৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অর্থ্যাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ কোটি ৬ লাখ টাকার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে।
অর্থ বছরের এ সময়ের মধ্যে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৮ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছর ভারত থেকে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৩ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিলের কাছে রাজস্ব আদায়ের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ১১ কোটি ৬ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ প্রথম অবস্থায় বেনাপোল বন্দরের ওয়্যারহাউজে (পণ্যাগারে) রাখা হয়। এসময় ওই সব আমদানি পণ্য রক্ষণাবেক্ষণ ও পণ্যাগার ভাড়া বাবদ বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নির্ধারিত পরিমানে রাজস্ব আদায় করে থাকে।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, পণ্য ছাড়করণের ক্ষেত্রে বৈধ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না হওয়ায় আমদানি কমে যাওয়া এর একটি কারণ। এতে রাজস্ব দিন দিন ঘাটতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, করোনার কারণে প্রায় আড়াই মাস ধরে আমদানি বন্ধ ছিল। এজন্য রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। আর ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দরে অনেক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া আরও যে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে বন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, উঁচু প্রাচীর নির্মাণ বন্দরের চারদিকে ও নতুন জায়গা অধিগ্রহণ। এসব উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হলে বেনাপোল বন্দর বিশ্বের কাছে একটি আধুনিক বন্দর হিসাবে পরিচিতি পাবে। তখন আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব ও রাড়বে।