বাসা ভাড়া সংকটে জবি শিক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা

করোনাভাইরাস মহামারিতে মেস ভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে সম্পূর্ণ অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এর শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে আয়ের পথ টিউশনি ও পার্টটাইম জব বন্ধ থাকায় বাসা ভাড়া জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই টিউশনির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যয় নির্বাহ করে। ব্যক্তি বিশেষ পরিবারকেও সহায়তা করে। করোনার এই মহামারির সময়ে টিউশনি না থাকায় তাদের মধ্যে আর্থিক অস্বচ্ছলতা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য মেস ভাড়া দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েছেন তুলনামূলক দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীরা।

এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা শিক্ষার্থীদের থেকে অভিযোগ আসছে ভাড়া আদায় করতে ফোনে হুমকি ও মানসিক নির্যাতন করছেন মেস মালিকরা। বৈশ্বিক এ সংকটে টিউশন বন্ধ থাকায় কোন ধরনের আয় নেই তার ওপর মেস মালিকদের বা বাড়িওয়ালাদের ভাড়া পরিশোধের চাপ শিক্ষার্থীদের সংকটকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় অনেক শিক্ষার্থীরাই  দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

শিক্ষার্থীদের এসকল মেস ভাড়া সমস্যার সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটি গঠন করা হলেও তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি, নিশ্চুপ রয়েছে তথাকথিত ১৯ ছাত্রনেতার সক‌লেই। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়ার নানা সংকটে পাশে দাড়িয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। যেসকল শিক্ষার্থী মেসের ভাড়া এবং মালামাল নিয়ে সমস্যায় পড়ছে তাদের কাছে ছুটে যাচ্ছে তারা। মেস মালিকদের সাথে কথা বলে ভাড়ার বিষয়ে সমঝোতা করছে। মালামাল নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে সহায়তা করছে ছাত্রলীগের এসকল নেতাকর্মীরা।

করোনাভাইরাসের মহামারীর এই সময়ে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া সমস্যা সংকট নিরসনে এগিয়ে এসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতা কর্মীরা। এরা হলেন

সৈয়দ শাকিল, নাহিদ পারভেজ, ইব্রাহীম ফরাজী, আক্তার হোসেন, তা‌রেক অা‌জিজ, শান্ত নাজমুল বাবু, অঞ্জন চৌধুরী পিংকু, কামরুল হোসেন প্রমুখ।  বাড়িওয়ালাদের সাথে কথা বলে ভাড়া অনেকাংশে কমিয়ে আনছেন তারা।

তাছাড়া অন্যদিকে ছাত্রলীগ কর্মী কনিক স্বপ্নিল, ক‌ম্পিউটার সাইন্স এর শাহীনুর রহমান ও তার সহযোগীদের নিয়েও শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন। যেসব শিক্ষার্থীরা মেস ছেড়ে দিচ্ছেন তাদের মালপত্র রাখতে নিজ উদ্যোগে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে জিনিসপত্র রাখছেন। এতে অনেক শিক্ষার্থীরাই অনেকটা স্বস্তিতে ফিরছেন।

আরও পড়ুন: উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে ফের তিস্তার পানি বৃদ্ধি

এ ব্যাপারে কনিক স্বপ্নিল বলেন, যেসকল শিক্ষার্থী ভাড়া দিতে পারছে না তাদের সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। মেস ছেড়ে দিলে যাবতীয় মালামাল রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মেস মালিকদের সাথে আরো নানা রকম সমস্যা হয় সেকল ব্যাপারে মুঠোফোনে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বাড়িওয়ালাদের সাথে কথা বলে ভাড়া অনেকাংশে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ পারভেজ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অতীতের ন্যায় সবসময়  সকল প্রকার মানবিক কাজের    অগ্রসৈনিক। বর্তমানে সারা বিশ্ব তথা বাংলাদেশের এই করোনা মহামারির জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়ার সমস্যা সমাধানে মানবতার মা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মানিত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ভাই ও সাধারণত সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার তদারকিতে আমরা  বাসা বাসা গিয়ে মানবিক আবেদন নিয়ে হাজির হয়ে সমাধান করতেছি৷ অতীতের ন্যায় সকল দূর্যোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এই ধরনের সকলপ্রকার মানবিক কাজ অব্যহত থাকবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *