এতোদিন হলিউড বলিউডের নায়কদের ‘সিক্স প্যাক’ দেখে আক্ষেপ করতেন এই দেশের দর্শক। ‘কবে আমাদের নায়কদেরকেও দেখব এইভাবে ?’- অনেকদিন থেকেই এই আক্ষেপ পুষে রেখেছে এই দেশের দর্শক। সেই অপেক্ষার পালা শেষ করলেন আরেফিন শুভ!
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবে ঘুরছে আরেফিন শুভর একটি ভিডিও। হাজার হাজার শেয়ার এবং সবার মুখে তার সুনাম। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন এই অভিনেতা, নিজেকে ভেঙে আবার নতুন করে গড়ছেন, তৈরি করছেন নিজেকে ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবির চরিত্রে অভিনয়ের জন্য।
২০১৮ সালের নভেম্বর বা ডিসেম্বরে ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবির জন্য শুভ নিজেই পড়াশোনা করে নিজেকে সেই চরিত্রের উপযোগী করার জন্য শুরু করলেন অক্লান্ত পরিশ্রম। শুরু হল নিজেকে ভেঙে নতুন আকার তৈরির কাজ। শুরু হলো জিমে যাওয়া, শুরু হলো ট্রেনিং। টানা ৯ মাস ধরে চলে ট্রেনিং। শুভ তাঁর সেই ৯ মাসের ট্রেনিংয়ের গল্পকেই দেখিয়েছেন সেই ভিডিওতে।
যখন শুভ তাঁর এই ৯ মাসের যাত্রা শুরু করেন, তখন তাঁর ওজন ছিল ৯৪ কেজি। ‘আহারে’ ছবির জন্য ৮৫ কেজি থেকে ওজন বাড়িয়ে ৯৪ কেজি করতে হয়। এরপর শুরু হয় ৯৪ কেজি থেকে আবার ৮৪ কেজিতে ফেরার সফর। এই সফরে শুভর জন্য পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না। সেই হাড়ভাঙা খাটুনির ফিরিস্তি দিতে শুভ বলেন, ‘অমানবিক পরিশ্রম করেছি।’ ভিডিওতেই দেখা যায় তার এই দির্ঘ ৯ মাসের রূটিন। রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে উঠতে হতো ভোর ৫টায়। সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত করতে হতো আউটডোর কার্ডিও । এরপর আবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে ঢুকে যেতেন জিমে। সেখানে সন্ধ্যা ৬-৭টা পর্যন্ত চলত ব্যায়াম। মাঝে ঘণ্টাখানেকের বিরতিতে ঘুমানোর সুযোগ পেতেন। জিমেই খেতে হতো।জিমের মধ্যেই ঘুমাতেন। আর ধাপে ধাপে হতো কার্ডিও আর ওয়েট ট্রেনিং। প্রচণ্ড ভোজনরসিক শুভর ডায়েট সেই সময়ে থাকত মাছ, সবজি, ডিমের সাদা অংশ, বাদাম, আর পিনাট বাটার।
হেভি ওয়েট নেয়ার ফলে তার গোড়ালি ফুলে গিয়েছিল, পানি চলে এসেছিল। এক্সরে করে দেখা গেল টিস্যু ড্যামেজ হয়েছে। পায়ের লিগামেন্টও ছিড়ে যায়। তারপরেও কিছুদিনের বিরতিতে আবার ব্যাথা নিয়েই জিমে আসেন।
অবশেষে শুভর এই অক্লান্ত পরিশ্রম সফল হয়েছে, পেয়েছেন তার মুভির জন্য কাঙ্খিত সেই লুক।অন্যদিকে ভক্তদের কাছ থেকেও পেয়েছেন ব্যাপক সাড়া। প্রশংসা পাচ্ছেন সিনেমার পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে।