যুক্তরাষ্ট্র কম্বোডিয়ার রিয়াম নৌ-ঘাঁটি চীনের সহায়তায় সম্প্রসারণের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপের মাাধ্যমে চীনের সেনাবাহিনী সেখানকার সুবিধাভোগী হয়ে উঠতে পারে।
নিকি এশিয়াকে কম্বোডিয়ার নৌ-বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বন্দর সম্প্রসারণ এবং থাইল্যান্ড উপকূলে জাহাজ মেরামতের সুবিধার্থে চীন সরকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করছিল। নৌ-কর্মকর্তা ভ্যান বানলিং বলেছেন, চীন সরকার একটি বন্দর তৈরির জন্য এবং আমাদের জাহাজ মেরামতের জন্য সহায়তা করছে। জাহাজ মেরামতের জন্য কম্বোডিয়ার যে অর্থ ব্যয় হয়, সেই ব্যয় কমাতে আমাদের সহায়তা করছে চীনা সরকার।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, পরিকল্পনাগুলোর ভেতর ঘাঁটির আশেপাশের পানির গভীরতা বাড়ানোর জন্য খননকাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই জায়গাগুলো বর্তমানে কেবল ছোট ছোট জাহাজের জন্য উপযুক্ত।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ১ অক্টোবর ধারণ করা স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে- রিয়াম নৌ-ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে নির্মিত স্থাপনা ভেঙে ফেলেছে কম্বোডিয়া সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে নির্মিত ভবনগুলোর একটি ছিল সেটি। এই ঘাঁটিতে চীনকে সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে গোপন চুক্তি করার পর ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটলো। এছাড়া স্যাটেলাইটে ধারণকৃত একটি একটি ছবি প্রকাশ করেছে সিএসআইএস, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে নির্মিত নির্মিত ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে বেইজিং কম্বোডিয়ার নৌ-ঘাঁটি নিজেদের সেনাবাহিনী ব্যবহার করার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের কর্মকর্তারা এ ধরনের পরিকল্পনা না থাকার কথা বলেছেন।