২০১৮ সালের এদিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয় লাভ করে এবং টানা তৃতীয়বারের মতো পাঁচ বছরের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়। তাই আওয়ামী লীগ এ দিনটিকে পালন করছে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে৷ আর বিএনপি পালন করছে গণতন্ত্র হত্যার কালো দিন ৷
এ নির্বাচনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ছয়টি নির্বাচনী আসনে সম্পূর্ণভাবে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণ করা হয়। ইভিএম ব্যবহার করা আসনগুলো ছিল, ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে বলে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ দিবস হিসেবে পালন করছে আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের জেলা, উপজেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যন্ত বিজয় সমাবেশ করতে বলা হয়েছে৷
অপরদিকে, বিএনপি ৩০ ডিসেম্বরকে গণতন্ত্র হত্যা এবং কালো দিবস ঘোষণা করে সারাদেশে বিক্ষোভ ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে। ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয়ভাবে আর একই সময়ে দেশের জেলা এবং উপজেলা পর্যায়েও কর্মসূচি পালিত হবে৷
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ‘‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে৷ সংবিধান সমুন্নত থেকেছে৷ এজন্য আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে৷’’
বিএনপির নির্বাচনের আগের রাতে ভোট হয়ে যাওয়া অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করেছিল৷ তাই, তারা হারলেই নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলে৷ বিএনপি সবসময়ই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন প্রতিহতের ডাক দিয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছিল৷
২০১৮ সালের এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটসহ বাংলাদেশের নিবন্ধিত সর্বমোট ৩৯টি দল অংশগ্রহণ করে। বিএনপি মাত্র সাতটি আসনে জয়লাভ করে।
নির্বাচনে সারা দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। যার মধ্যে পাঁচ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন পুরুষ ও পাঁচ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন নারী ভোটার।