বিশ্বে নেতা আসেন, নেতা যান। কেউ কেউ বিদায় নেন নায়ক হিসেবে, কেউবা আবার খলনায়ক হয়ে। ক্ষমতায় থাকাকালে কোন নেতা কতটা সাফল্য দেখিয়েছেন, সেটি বিবেচনায় থাকে না। মানুষ মনে রাখে তার শেষটা। আলোচনা-সমালোচনার বিষয় হয়ে থাকে কেমন করে, কীভাবে শেষ করলেন তার শেষ সময়টি।
জার্মানির ‘আয়রণ লেডি’ খ্যাত চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ঝানু রাজনৈতিক নেতা। জার্মানিরা তাকে আদর করে মা বলে, যিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছাতা হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি নতুন এক জরিপে দেখা যায়, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল এবং তার দলের জনপ্রিয়তা অনেকটা বেড়েছে। করোনার কঠিন সময়ে মের্কেলের সাহসী ভূমিকা এবং তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে জার্মানি খুব অল্প সময়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি করোনা মোকাবেলায় তার সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগ সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
জরিপে বলা হয়েছে, তার দল মধ্যে ডানপন্থী ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (সিডিউ)-এর জনপ্রিয়তা এখন ৪৫শতাংশ। এটি গত তিন বছরের মধ্যে শীর্ষ অবস্থান। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে সোশ্যাল পলিটিকাল ডেমোক্র্যাটিক (এসপিডি)-এর ১৫ শতাংশ, অলটারনেটিভ ফর জার্মান (এএফডি ) ১৯ শতাংশ, ফ্রি ডেমোক্রেট পার্টি (এফডিপি) ৫ শতাংশ।
রাজনৈতিক ব্যক্তি জরিপেও মের্কেল এগিয়ে আছেন, সেই সূচকে মের্কেল পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২.৭ পয়েন্টস।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরেই মাঠে গড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবল
২০১৫ সালে ইউরোপমুখী শরণার্থীর ঢল নামলে তাতে উদারতার হাত বাড়িয়ে দেন মের্কেল । তবে তা ভালোভাবে নেয়নি জার্মানির জনগণ। বিভিম্ন আঞ্চলিক নির্বাচনে তার দলের ধস নামে। তবে শিগগিরই তা কাটিয়ে উঠেছেন সদা হাস্যোজ্জ্বল নিরুদ্বেগ অভিব্যক্তি নিয়ে ইউরোপীয় রাজনীতির মঞ্চে চলাফেরা করা মের্কেল।
এদিকে ভূ-রাজনৈতিক জরিপেও মের্কেল এখন শীর্ষ নেতা। যেখানে ট্রাম্প, শি জিং, পুতিন, জনসন-এর মত নেতারা তাদের নিজ নিজ দেশে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে, সেখানে এই লৌহ মানবী দিব্যি নতুন নতুন স্বপ্ন নিয়ে হাজির হচ্ছেন ইউরোপের মঞ্চে।