তিনি বলেন, সাংগঠনিক শক্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। আওয়ামী লীগের এই তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক শক্তি যে আছে, এই মহামারী মোকাবেলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে, তখনই সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যে কারণে আমার প্রায় ৫২২ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। এই যে এত বড় স্যাকরিফাইস আর কোনো দল তো বোধহয় করেনি। তারা লিপ সার্ভিস দিয়েছে, ভালো মিডিয়া আছে..।
শনিবার (৩ অক্টোবর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সভায় দলের নেতাদেরও বিভিন্ন সাংগঠনিক নির্দেশনাও দেন তিনি।
সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আর আমি তো প্রাইভেটে টেলিভিশন দিয়েছি, প্রাইভেটে রেডিও দিয়েছি, অনেক পত্রিকা। যে যার মতো আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেই যাচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে কিন্তু মাঠে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা কেউ আবার বিচার করে আওয়ামী লীগের.. কতটুকু করল আর কতটুকু করলো না। কিন্তু তারা নিজের আয়না দিয়ে চেহারা দেখে না।
এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে শুধু আওয়ামী লীগই আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ জনগণের স্বার্থে কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী আর বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নতির জন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়, আমরা যেন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।