বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান । বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব। মাশরাফির অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তাকেই দলপতি নির্বাচিত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বছরের শুরুতেই অধিনায়কত্ব পেলেও অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচ খেলেননি দেশসেরা এই ওপেনার।
সম্প্রতি ডয়চে ভেলের ইউটিউব টক শো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’-এ যোগ দিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ বছর পার করা তামিম।
শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় ক্রিকেটে ফিরতে আরো কিছু সময় পার করতে হবে বাংলাদেশকে। এরই মধ্যে বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে দল ভাগ করে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। এজন্য ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দের বিভিন্ন দলে ভাগ করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলানোর কথা চিন্তা করছে। ‘সেগুলো সফলভাবে করতে পারলে আমরা সব ফর্ম্যাটে প্রস্তুত থাকবো,’ বলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৩ সেঞ্চুরির মালিক তামিম।
খেলোয়াড়দের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ফ্যান পেইজগুলোতে কাদা ছোঁড়াছুড়ি নিয়ে ও খোলাসা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘আমার যেটা নিয়ে আপত্তি তা হলো গ্রুপ-ইজম। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে তামিমিয়ান, সাকিবিয়ান, মাশরাফিয়ান, মুশফিকিয়ান, রিয়াদিয়ান- এই গ্রুপগুলো নিজেদের গ্রুপকে ভালো দেখানোর জন্য আরেকজনকে আক্রমণ করে, যেটা ভালো না। গ্রুপ থাকা ভালো কথা। আপনারা ইনডিভিজুয়েলের ফ্যান। একটা জিনিস ভুলে যাবেন না, সবাই একটা দলের জন্য খেলে। আমার গ্রুপের মানুষজন যদি আমার কলিগকে ছোট করে তাহলে সেটা ফেয়ার হলো না। গ্রুপইজম নিয়ে আমার সমস্যা আছে। মানুষের মতামত নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’
ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসার গুঞ্জন থাকলেও সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তামিম নিজেই। জানিয়েছেন রাজনীতি একেবারেই অপছন্দ তামিমের।
‘রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো এক ফোঁটা ইচ্ছাও নেই৷ আমি মনে করি দ্যাট ইজ নট মাই কাপ অফ টি,’ সরাসরিই বলেছেন তামিম।
প্রায় এক ঘণ্টার এই আলোচনায় খেলোয়াড়দের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক, বিভিন্ন খেলোয়াড়ের মূল্যায়নসহ উঠে এসেছে ব্যক্তি তামিমের অনেক না জানা কথাও।