পিপল ম্যাগাজিনের জরিপ অনুযায়ী ‘সেক্সিয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল ম্যান এলাইভ-২০২০’ এ সবচেয়ে বেশি আবেদনময়ী & আকর্ষণীয় হিসেবে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস এর ‘জুং-কুক’।
পিপল ম্যাগাজিন যে দিকগুলো বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করেছে তা হলো- ৪০ শতাংশ শারীরিক গঠন, ৪০ শতাংশ জনপ্রিয়তা, ২০ শতাংশ গুণ ও আকর্ষণ এর উপর। সবদিকে প্রাধান্য দিয়েই কিন্তু ‘জুং-কুক’ শ্রেষ্ঠ হিসেবে উঠে এসেছেন। আর এই ৩ বিভাগেই কিন্তু উনি সমানভাবে বিচরণ করছেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে সবচেয়ে আবেদনময়ী পুরুষের খেতাব পাওয়া যে-সে ব্যাপার নয়।
আমাদের আশেপাশে কে-পপ/কে-পপ আইডল কারো পছন্দ এটা শুনলেই অনেকে নাক সিটকায় আবার বিদ্রুপ-তাচ্ছিল্য করে! কিন্তু কেনো এমন প্রতিক্রিয়া, কেনোই বা কে-পপ আইডল বা কে-পপ ফ্যানদের বাঁকাদৃষ্টিতে দেখা হয়?!
এর সম্ভাব্য কারণগুলো নিজের মতো তুলে ধরছিঃ
১. কোরিয়ান ভাষা সম্বন্ধে ধারণা কম বিধায় গানের কথার অর্থবহতা কিছু মানুষের কাছে অধরাই থেকে যায়। একটু যদি ধৈর্য্য নিয়ে সাবটাইটেলসহ দেখে নিতো তবে ভাষা নিয়ে অভিযোগটা অনেকাংশেই কমে যেতো।
২. স্বভাবতই কোরিয়ান সংস্কৃতির সাথে আমাদের সংস্কৃতির বিস্তর পার্থক্য। ওদের সংস্কৃতিতে ছেলেদের স্কিনকেয়ার, মেকাপ, দাঁড়ি না রাখা যতটা নরমাল; আমাদের দেশের হিসেবে তা ততটাই অস্বাভাবিক। জাপানিজ, চাইনিজ, কোরিয়ান মেইল এক্টর, কে-পপ আইডলদের চকচকে স্কিন, কালারফুল হেয়ার থাকবে, দেখতে সুন্দর এবং হ্যান্ডসাম লাগবে এটাই কিন্তু সেখানকার দর্শকদের মাইন্ডসেট। জাস্ট এই বাহ্যিক ব্যাপারগুলো নিয়ে মেইল এক্টর/কে-পপ আইডলের পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন করাটা কি বড্ড বেমানান নয়! কারো ভালো নাই লাগতে পারে, তবে ভালো লাগবেনা বলে তাদের নিয়ে বাজে ধরনের মজা করা আবার যাদের কে-পপ ভালো লাগে তাদের রুচি নিয়ে প্রশ্ন করাটাও যুক্তিসংগত নয়।
৩. আমাদের মতের সাথে অন্যকারো মত না মিললেই আমরা তাদেরকে নীচু দেখানোর চেষ্টা করি। কে-পপ যাদের পছন্দ না তারা অনেক সময়ই আইডলদের ‘মেয়ে লাগে/হিজরা লাগে’ এমন বলে মজা/বিদ্রুপ করেন। আমার প্রশ্ন হলো, মেয়ে/হিজরা শব্দ কি কোন গালি-উপাধি নাকি যে তা বলে আইডলদের পয়েন্ট আউট করা হয়!
৪. সবার সবকিছু ভালো লাগবে, ভালো লাগাতেই হবে এমন নয়। ভালো না লাগলে ইগ্নোর করে যাওয়ার ও সুযোগ আছে। কে-পপ আইডল /এক্টর ভালো না লাগলে সিম্পলি ইগ্নোর করেন। কিন্তু আপনার ভালো লাগেনা তাই বলে অন্যের কেনো ভালো লাগে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন না দয়া করে। নিজেকে সম্মান দিন আর অন্যের পছন্দকেও সম্মান দেয়ার মানসিকতা রাখুন।
যোগ্যতা, গুণ না থাকলে এমনি এমনিই কে-পপ /আইডলদের গান-পারফরম্যান্স কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে নিতোনা। কিছু একটা মায়াময় অবশ্যই আছে বিধায় তাদের গানের কথায় মানুষ ভালোলাগা খুঁজে পায়।