মুক্তি পেল ‘কাসিদা অব ঢাকা’

নবাব পরিবারগুলো ছিলো সংগীত ও নৃত্যের পৃষ্ঠপোষক। নওয়াব আহসান উল্লাহ খান হারমোনিয়াম বিশেষজ্ঞ ছিলেন। নওয়াব আবদুল গণি আহসান মঞ্জিলে নিয়মিত গানের আসর করতেন। এসব গানের আসরে কাসিদা, কাওয়ালি হতো। সারা বছর ঢাকাবাসী অন্যান্য গানে মশগুল থাকলেও রমজানের আগে থেকে পুরো মাস চলতো কাসিদা পরিবেশনা।

বাংলার ঐতিহ্য কাসিদা এবার প্রামাণ্যচিত্রে তুলে ধরা হলো। বাংলাঢোলের প্রযোজনায় ১৭ মে  বাংলাফ্লিক্স, রবিস্ক্রিন, এয়ারটেল স্ক্রিন, টেলিফ্লিক্স ও বিডিফ্লিক্স লাইভ অ্যাপে একযোগে উন্মুক্ত করা হয়েছে ‘কাসিদা অব ঢাকা’। ২০ মিনিট ব্যাপ্তির এই প্রামাণ্যচিত্র গবেষণা ও নির্মাণ করেছেন অনার্য মুর্শিদ।

‘কাসিদা অব ঢাকা’র চিত্রগ্রহণ করেছেন রাসেল আবেদীন তাজ, সম্পাদনা করেছেন অনয় সোহাগ, আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রিন্স শুভ আর নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। নির্বাহী প্রযোজক এনামুল হক জানান, কিছুদিনের মধ্যে এটি দেখা যাবে বাংলাঢোলের ইউটিউব চ্যানেলে।

‘কাসিদা অব ঢাকা’র চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা জানান, কাসিদা আরবি শব্দ। এটি এক ধরনের প্রশংসামূলক দীর্ঘ গীতিকবিতা। ঢাকার কাসিদার বিষয় ছিলো মুঘল সম্রাটদের প্রশংসা ও গুণগান। মুঘলদের বিদায়ের পর এখানকার কাসিদাগুলো রমজান মাস কেন্দ্র করে রচিত হতে থাকে। শাহেদি, মার্সিয়া, নাত-এ রাসূল, ভৈরবী, মালকোষ প্রভৃতি রাগে এর সুর প্রয়োগ করা হয়। কাসিদা শুনলেই বোঝা যেতো এটা কার লেখা। পুঁথির মতো কাসিদার শেষ স্তবকে লেখা থাকতো কবির নাম।

অনার্য বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস প্রামাণ্যচিত্রটির মাধ্যমে অনেকেই কাসিদার ব্যাপারে নতুন কিছু জানতে পারবেন, এ ব্যাপাের আগ্রহী হবেন, হারিয়ে যাওয়া কাসিদা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। বাংলাঢোলকে ধন্যবাদ এমন একটি হারানো ঐতিহ্যকে দর্শকের সামনে তুলে আনার জন্য।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *