রংপুরে লোডশেডিং আর মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন

 

রংপুরে অসহনীয় গরম আর লোডশেডিংয়ে নাকাল নগরবাসী। পাশাপাশি মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তাদের জীবন। নগরীতে মশা নিধনে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের তেমন কোন কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ না থাকার কারনে অনেকেই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

নগরবাসীর অনেকেই বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের উদাসীনতা আর নগরীর বিভিন্ন মাড়া মহল্লার ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করার কারণে মশাবাহিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, ম্যালেরিয়া থেকে এই এলাকার মানুষকে বাঁচানোর জন্য ১৮৯০ সালে রাজা জনকী বল্লভ সেন ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্যামা-সুন্দরী খাল খনন করেন। বর্তমানে খালটি ময়লা ও আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। খালটি সংস্কারের জন্য সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিলেও নগরবাসীর কোনো উপকারে আসছে না সেটা। বিকেলের পর থেকে নগরীতে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। মশার উপদ্রব থেকে শিশুদের রক্ষা করতে দিনের বেলায়ও তাদের মশাড়ির নিচে রাখতে হচ্ছে। অপরদিকে, তীব্র গরম আর বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডসেডিংয়ের কারণে নগরবাসীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নেসকো তিনটি ইউনিটে ভাগ করে নগরবাসীকে বিদ্যুত সেবা দিয়ে থাকেন।পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ এর রংপুর গ্রিড ইনচার্জ হোসাইন মোহাম্মদ ইসতিয়াদ জানান, রংপুর জেলায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা অফপিক আওয়ারে দরকার ১৩০ মেগাওয়াট, সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১১৫ মেগাওয়াট। পিক আওয়ারে দরকার ১৫০ মেগাওয়াট, সেখানে সরবরাহ রয়েছে ১৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, শ্যামা সুন্দরীর ধ্বংসের দায় আমাদের সবার। মশা নিধনে কিছু ওষুধ আমাদের কাছে আসছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহ থেকে ওয়ার্ডভিত্তিক স্প্রে এবং ফ্লাইং মশা মারার জন্য কার্যক্রম শুরু করা হবে। সমস্যা হচ্ছে শ্যামা-সুন্দরী ক্যানেল। ক্যানেলের ময়লা-আর্বজনার থেকে মশা ও মাছি উৎপত্তি হচ্ছে। আমাদের সবার নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে। আমরা ক্যানেলটিতে ময়লা আর্বজনা ফেলা বন্ধ করলেই এর সুফল পাবো বলে মনে করছি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *