আলুর চড়া দামে দিশেহারা সাধারণ জনগণ

 

সারাদেশে শাকসবজী সহ নিত্য প্রণ্যের দাম চরমে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মধ্যবিত্ত সহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা। আমাদের দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির মধ্যে সর্বাধিক চাহিদার তালিকায় আছে আলু। আমাদের দেশের নারিরা রান্নার সকল তরকারির সাথেই সাধারণত আলু ব্যবহার করে থাকেন। তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ এ আলুর বাজারে আগুন।

সাধারণত বাজারে নতুন আলু উঠার সাথে সাথেই দাম কমতে শুরু করে। তবে এবার চিত্র ভিন্ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাজারে নতুন পুরাতন দুই ধরণেরই আলু আছে। কিন্তু দাম কমার কোন নাম নেই। এবিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নেই কোন মাথা ব্যাথা। নেই বাজার মনিটরিং এবং সিন্ডিকেট সম্পর্কে যথাযথ ধারণা। জানুয়ারী মাসে এসেও পুরোনো আলু বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। অথচ অন্য বছরগুলোতে এ সময়ে পুরোনো আলুর চাহিদা একেবারেই পড়ে যেত এবং দামও কমত। ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন, এখনো নতুন আলু পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজারে সরবরাহ হয়নি। যে কারণে নতুন ও পুরাতন দুই ধরনের আলুর দামই বাড়তি। তবে এতটা বাড়তি কেনো সে বিষয়ে তারা কোন সদউত্তর দিতে পারেননি।

গত দুইদিন যশোর ঝিকরগাছা, নাভারণ, শার্শা, বেনাপোল বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১সপ্তাহ ধরে বাজারে নতুন ও পুরাতন আলুর কেজি ছিলো ৭০-৮০টাকা। যেটা এখন দাম কমে ৬০-৭০টাকা বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো আলুর দাম কোথাও কোথাও একটু কমে ৫০/৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আবার নতুন আলু আকারে বেশি ছোট হলে সেটির দামও একটু কম রাখা হয়। তবে বড় সাইজের যেকোনো আলুই ৭০টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। গত সপ্তাহ থেকে উভয় প্রকার আলুর দাম কেজিতে ১০-২০টাকা কমলেও সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা। তাদের মতে বাংলাদেশ আলু রপ্তানি কারক দেশ হিসাবে এত দাম কখনোই কাম্য নই।

সরকারি হিসাব মতে দেশে ২০২০-২১সালে আলু উৎপাদন হয়েছে ৯৯লাখ টন, রপ্তানি হয়েছে ৬৮হাজার ৭৭৩টন। ২০২১-২২সালে উৎপাদন হয়েছে ১কোটি ২লাখ টন, রপ্তানি হয়েছে ৭৮হাজার ৯১০টন। আর ২০২২-২৩সালে উৎপাদন হয়েছে ১কোটি ১১লাখ টন, রপ্তানি হয়েছে(জানুয়ারি পর্যন্ত) ১৩হাজার টন। যেখানে অন্যান্য বছর গুলোতে আলু রপ্তানি হয়েছে সেখানে হঠাৎ করে কেনো এবছর এমন সমস্যা সেটাই জনগণের বোধগম্য নয়।

এবিষয়ে ইব্রাহিম নামে একজন সবজি ক্রেতা বলেন, বাজারে সকল পণ্যের দাম যে চড়া মাছে ভাতে বাঙালী থেকে নেমে যে ডালে ভাতে বাঙালী সে প্রবাদ টাও রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না, কেননা আলু ভর্তা ডাল খেয়ে যে সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকবে সে রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আলুর দামের কারণে। বাজার তদারকি, সিন্ডিকেট এবং আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী একাধিক বার ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *