লালমানিরহাটের বুড়িমারীতে নির্মমতার শিকার শহীদুন্নবী জুয়েলের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগের প্রমাণ পায়নি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা কমিশনকে জানিয়েছেন, গুজবের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন শহীদুন্নবী।তদন্ত কমিটির প্রধান ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইমাম সাহেব ও মুয়াজ্জিনের সঙ্গে কথা বলেছি। উনারা বলেছেন কোরআন শরিফে কেউ পা দেয়নি। শহীদুন্নবী র্যাকে পা দিয়েছিলেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ঘটনস্থলে উপস্থিত আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলবে কমিশন।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহীদুন্নবীর বন্ধুর (সুলতান জোবায়ের আব্বাস) বক্তব্যও নিয়েছে কমিশন। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত প্রকাশ করতে রাজি হননি ফায়জুল কবীর।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ফিরে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো। সব সাক্ষ্য একসঙ্গে করে, পারিপার্শ্বিক ঘটনা বিশ্লেষণ করে পুরো ঘটনার একটি স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে।’
বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বৃহস্পতিবার বিকেলে তর্কাতর্কির পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শহীদুন্নবীকে। পরে তার দেহে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
নিহত শহীদুন্নবী (৫০) রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান। তার সঙ্গী সুলতান জোবায়েরের বাড়িও রংপুরে।এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।