সুশান্তের পরিচারক ও বন্ধুকে পাঁচ ঘণ্টা জেরা সিবিআইয়ের

ছবি: সংগৃহিত

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, পাচক নীরজ সিংহ এবং পরিচারক দীপেশ সবন্তকে ডিআরডিও-র গেস্টহাউসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। তার পরে দুপুর তিনটে নাগাদ এই তিন জনকে সঙ্গে করেই সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে যায় সিবিআইয়ের দলটি। তাঁদের সঙ্গে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা এবং মুম্বই পুলিশের যে অফিসারেরা এত দিন তদন্ত চালাচ্ছিলেন, তাঁরাও ছিলেন। গতকালও সিবিআইয়ের এই দলটি প্রয়াত অভিনেতার ফ্ল্যাটে গিয়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় কাটিয়েছিলেন।

গতকাল সকালে সিদ্ধার্থ, নীরজ ও দীপেশ এক এক করে সান্ট্রাক্রুজের কলিনায় ডিআরডিও-র গেস্টহাউসে এসে পৌঁছন। এখানেই গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে রয়েছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। ১৪ জুন যখন বান্দ্রার ফ্ল্যাটে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ মেলে, তখন এই তিন জনই সেই ফ্ল্যাটে ছিলেন। এর আগে শুক্রবার নীরজ ও সিদ্ধার্থকে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

সিবিআই সূত্রের খবর, আজ গোয়েন্দারা সুশান্তের বন্ধু ও দুই পরিচারককে মূলত অভিনেতার জীবনযাপন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।  সুশান্তের বাড়ির সর্বক্ষণের পরিচারক দীপেশ সবন্ত তাঁদের জানান, লকডাউন চলাকালীন অনেক দেরি করে ঘুমোতে যেতেন সুশান্ত ও তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। ঘুম থেকে উঠতেনও দেরি করে করে। দুপুরে খাওয়ার আগে দীর্ঘক্ষণ যোগব্যায়াম করতেন তাঁরা। অনেক সময়ে ছাদে গিয়েও ব্যায়াম করতেন। তখন দীপেশকে সুশান্ত নির্দেশ দিতেন, ছাদে যোগব্যায়ামের জিনিসপত্র ও মিউজিক সিস্টেম দিয়ে আসতে।

সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দিন কয়েক আগে রিয়া সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে চলে যান। সেই দিনটি সম্পর্কে দীপেশকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নানা প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা। দীপেশ জানান সে দিন দুপুরে খাওয়ার আগেই সুশান্তের বাড়ি থেকে চলে যান রিয়া। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। সে দিন দুপুরে আর খাওয়াদাওয়াই করেননি সুশান্ত। সারা ক্ষণঘরে চুপচাপ বসে ছিলেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *