পুরো বিশ্বজুড়েই ক্রমশ সঙ্গিন হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি। সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে তিন লক্ষ ৬৯ হাজার জনের। এর মধ্যে শুধু আমেরিকাতেই মারা গিয়েছেন ১ লক্ষ ৩ হাজারের বেশি মানুষ। সেখানে আক্রান্ত ১৭ লক্ষ ৭৭ হাজারের বেশি। তবে আগের থেকে আমেরিকায় পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু সংক্রমণের নিরিখে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল।
ব্রাজিলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার দেখে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যায় খুব দ্রুত দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে ব্রাজিল। সেখানে চার লক্ষ ৯৮ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজারের বেশি মানুষের। তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। সেখানে আক্রান্ত তিন লক্ষ ৯৬ হাজার। মৃত্যু হয়েছে চার হাজারের বেশি মানুষের।
ব্রিটেনে সংক্রমণের গতি কিছুটা কমেছে। সেখানে আক্রান্ত দুই লক্ষ ৭৪ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের। স্পেন, ফ্রান্স ও ইটালিতেও করোনা সংক্রমণের গতিতে কিছুটা লাগাম পরানো গিয়েছে। সংক্রমণের নিরিখে গোটা বিশ্বে এত দিন কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও, সম্প্রতি ন’নম্বরে উঠে এসেছে ভারত।
সাম্প্রতিককালে করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে কানাডাতেও। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯১ হাজার মানুষ। মৃত্যু সাত হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই মহামারি ছড়িয়ে পড়ার গতি দেখে শঙ্কিত চিকিৎসকেরা। গত কয়েকদিনের ছবিতেই স্পষ্ট করোনা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে লাতিন আমেরিকা ও উপসাগরীয় দেশগুলিতে। তবে সমস্ত দেশেই করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। তার ফলে আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণের গতি বেড়েছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো এবং পেরুতে।
সংক্রমণের প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে উঠতে পারলেও, সম্প্রতি করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে উপসাগরীয় দেশগুলিতে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ইরানে। আক্রান্ত বাড়ছে কুয়েত, সৌদি আরব এবং আরব আমিরশাহির মতো দেশগুলিতে।