করোনা-সংক্রমণের গতি আর না বাড়লেও সেপ্টেম্বরের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একাংশ। কিন্তু সেই সঙ্গে আজ নতুন আশঙ্কার কথাও শোনা গেল। করোনা-সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ হয়তো আছড়ে পড়তে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এই ইঙ্গিত মিলেছে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা দেখে। মার্কিন প্রদেশগুলোতে পরীক্ষা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে এই কারণটিও আছে বলে প্রশাসনের দাবি। টেক্সাস, অ্যারিজোনাসহ অন্তত ছয়টি প্রদেশের হাসপাতালে ইতোমধ্যেই স্থান সংকুলানে সমস্যা হচ্ছে। টেক্সাসে পরপর তিন দিন রেকর্ড সংখ্যক করোনা-রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হিউস্টনের মেয়র জানিয়েছেন, তাঁরা একটি স্টেডিয়ামকে আপতকালীন হাসপাতাল করার কথা ভাবছেন।
লাতিন আমেরিকার অবস্থাও খারাপ। এত দিন সংক্রমণে ব্রাজিল দ্বিতীয় ছিল, এবার মৃতের সংখ্যার নিরিখেও তারা ব্রিটেনকে ছাপিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় হতে চলেছে।
লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ পেরুর পরিস্থিতিও শোচনীয়। তিন কোটি মানুষের এই দেশে আক্রান্ত ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত ৬ হাজার। গত কাল পেরু সরকার ঘোষণা করেছে, তাদের পুলিশ বাহিনীর ১০ হাজার অফিসার আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন ১৭০ জন পুলিশকর্মী। সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে থাকা রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজারের কাছাকাছি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে।