কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে শুক্রবার (২৯ মে) ২৬৩ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে মোট ৭৫ জনের রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে, কক্সবাজার জেলার ৬৭ জন, ভিন্ন জেলার ৩ জন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ১ জন এবং পুরাতন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ফলোআপ টেস্টে ৪ জনের ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বাকী ১৮৭ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ পাওয়া যায়।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (২৯ মে) নতুন ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট পাওয়া ৭৫ জন করোনা রোগীর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৫৪ জন, চকরিয়া উপজেলায় ১ জন, উখিয়া উপজেলায় ৮ জন, টেকনাফ উপজেলায় ২ জন, মহেশখালী উপজেলায় ১ জন ও রামু উপজেলায় ১ জন। এছাড়া চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ১ জন, বান্দরবানের লামা উপজেলায় ২ জন ও রোহিঙ্গা শরনার্থী ১ জন রয়েছে।
তাছাড়া, আগে থেকেই করোনা আক্রান্ত হওয়া রোগীর ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট শুক্রবার ৪জনের ‘পজিটিভ’ পাওয়া যায়।
২৯ মে পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো: চকরিয়া উপজেলায় ১৫৮ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ২৩০ জন, পেকুয়া উপজেলায় ৩৯ জন, মহেশখালী উপজেলায় ৩৩ জন, উখিয়া উপজেলায় ৭৭ জন, টেকনাফ উপজেলায় ২০ জন, রামু উপজেলায় ২৪ জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৩ জন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ২৭ জন।
কক্সবাজার জেলায় ইতিমধ্যে একজন মহিলাসহ মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ জন করোনা রোগী। মোট ১০২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা শরণার্থী আগে ২৯ জন করোনা আক্রান্ত বলা হলেও সেটি মূলত ২৬ জন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত আরআরআরসি (উপসচিব) সামছুদ্দৌজা। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হওয়া একজন রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ মোট ২৭ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ।