
সকাল হতে কেঁদেই চলেছে চট্টগ্রামের আকাশ। ঝরছে অবিরাম বৃষ্টি। শেষ ২৪ ঘন্টায় এই বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে ৭৮ মিলিমিটার। আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে আগামী ৭২ ঘন্টায় আরো বেশি প্রবলভাবে ধারণ করবে এই বৃষ্টিপাত। ফলে পাহাড় ধসের সম্ভাবনাটা আরও বেগবান হলো।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বার্তায় চট্টগ্রামসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওই বার্তায় জানানো হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল এবং সমুদ্র বন্দরের উপরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নাম্বার স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের আকাশের এই বর্ষণ সাধারণ মানুষদের ভোগান্তির চরম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। নিম্ন আয়ের লোকজনরা জানান, ‘করোনার কারণে এমনিতেই তাদের জীবিকার চাকা ঘুরছে থেমে থেমে, তার মাঝে এই বৃষ্টি তাদের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে আসলো। সেই সাথে সপ্তাহ জুড়ে এমন বৃষ্টি নতুন অভিশাপ!
দিনমজুর হাশেম বলেন, করোনা পরিস্থিতি আসার পর থেকে আয় রোজগার অনেক কমে গেছে। এরপরেও দুবেলা খবার খেতে অন্তত পারতাম। কিন্তু এই বৃষ্টি সব ভরসা শেষ করে দিলো।’
সহকারি আবহওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামের আকাশে ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আগামী ৭২ ঘন্টা অব্যহত থাকতে পারে। তিনি জানান, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে ভারীবর্ষণ হতে পারে আগামী ১সপ্তাহের মধ্যে। আর বৃষ্টির কবলে পড়ে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত বর্ষা মৌসুমের শুরুর দিকের ভারী বর্ষণের এই সময়ে বন্দর নগরীর আতঙ্কের ছাপ হচ্ছে পাহাড় ধস। ইতোমধ্যে নগরীর পাহাড় বেষ্টিত বস্তিগুলো সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে।