বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে অসহায় হয়ে পড়া কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অভিনব পদ্ধতিতে কাজ করে চলেছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ৫ জন বন্ধুকে ট্যাগ করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে অসহায় মানুষের সাহায্যে।
মানুষের পাশে দাড়ানোর এই অভিনব পদ্ধতি শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গারের সিলেট জেলা সমন্বয়ক মোমিনুল হক ফাহিম।
ফাহিম বলেন, আমরা চাইলেই আমাদের চারপাশের গরীব প্রতিবেশী, রিকশা চালক, দিন মজুর, যাদের কাজের সুযোগ নেই এরকম বাসায় চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, তেল, সাবান দিয়ে সাহায্য করতে পারি। যার যতটুকু আছে ততটুকু দিয়েই সাহায্য করা যেতে পারে।
অভিনব এই পদ্ধতি অবলম্বন করে মোমিনুল কিছু মানুষকে সাহয্য করে তার ৫ জন বন্ধুকে সোস্যাল মিডিয়ায় ট্যাগ করে এই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানায়। তিনি নিজেও এই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছেন।
ফাহিমের চ্যালেঞ্জ প্যাকেটে ছিল১ কেজি ডাল, ১ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, আধা কেজি পেয়াজ, আধা লিটার তেল এবং একটি সাবান। মোট খরচ এখানে ২৩৫ টাকা।
ফাহিম প্রস্তাব করেন, আপনি চাইলে আপনার বাসা থেকে ও দিতে পারেন বা ক্রয় করে আপনার ইচ্ছা মত শুধু ১ কেজি চালও দিতে পারেন যার মূল্য ৪০-৬০ টাকা অথবা ১ কেজি ডাল যার মূল্য ৭০-৮০ টাকা অথবা শুধু আলু/পেঁয়াজ/তেল দিতে পারেন। যা ছড়িয়ে যাবে ৫ জন থেকে ১০ জন, ১০ জন থেকে ২০ জন, ২০ জন থেকে ৪০ জন।
চ্যালেঞ্জটি গ্রহন করার প্রক্রিয়াঃ
১। আপনি ১ জন গরিব/অসহায় মানুষকে চাল/ডাল/তেল/আলু/পিয়াজ/তেল/সাবান সামর্থ অনুযায়ী প্রদান করবেন ।
২। আপনি একটি ছবি তুলে ফেসবুকে এ পোষ্ট করবেন (ছবিতে আপনি থাকলে ভাল না থাকলেও হবে) এবং চ্যালেঞ্জের মূল স্ট্যাটাসটি সম্পূর্ন কপি করে এডিট করে আপনার নাম লিখবেন।
৩। আপনি ৫ জন বন্ধুকে আপনার পোস্টে ট্যাগ করবেন তারা যাতে এই চ্যালেন্জ গ্রহন করে ।
৪।আপনার টাইমলাইনে পোষ্ট করে এই গ্রপে পোষ্ট করবেন https://www.facebook.com/groups/896263824166113/?ref=share
৫। কেউ যদি এই পোস্ট শেয়ার করতে চায় তাহলে অবশ্যই চ্যালেন্জ গ্রহন করতে হবে এবং “আমি এই Challenge টি গ্রহণ করলাম” লিখে শেয়ার দিতে হবে।
৬। আপনাকে অবশ্যই ২৪ ঘন্টার ভিতরে এই Challenge টি গ্রহণ করতে হবে।
৭। আপনার বাসার আশে-পাশে অসহায়/দিনমজুর যে কেউকে দিতে পারেন তবে অবশ্যই দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নাই এবং আপনাকে অবশ্যই মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার, গ্লাবস ব্যবহার করতে হবে।
২৩ মার্চ ২০২০ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০ টি পরিবারের মধ্যে এই প্রক্রিয়ায় খাবার পৌঁছে গেছে যার অর্থের পরিমাণ তিন লক্ষ বার হাজার টাকা। এই কার্যক্রমটি সিলেটের জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, লামা বাজার, রিকাবীবাজার, আমবরখানা, দরগা গেইট, চওউহাট্টা, মিরাবাজার ছড়িয়ে পড়েছে।