মহামারি করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১০টি আইসিইউসহ ৩০ শয্যার আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। তাছাড়া দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে নির্মাণাধীন ৩৫০ শয্যার পৃথক দুটি আইসোলেশন সেন্টারের কাজ।
আজ শনিবার বেলা ১২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করেছেন। এ সময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন টেলি-কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি কনভেনশন সেন্টারকে ২৫০ শয্যার এবং সমন্বিত উদ্যোগে হালিশহরের প্রিন্স অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারকে ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তর করার কাজ চলমান রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত উভয় সেন্টারেই প্রায় ৫০ টি করে বেড বসানো হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেন্টার দুটিতে করোনা সংক্রমিতদের ভর্তি করা হবে। গতকাল নির্মাণাধীন সেন্টার দুটি পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। নগরীর প্রাণকেন্দ্র আগ্রাবাদে অবস্থিত চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে প্রস্তুত করা হয়েছে ভেন্টিলেটরযুক্ত ১০টি আইসিইউ, অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার ২০টি আইসোলেশন শয্যা এবং ৩০ শয্যার ফ্লু কর্নার।
গতকাল আইসোলেশন সেন্টার দুটি পরিদর্শন শেষে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, কোভিড ১৯ মহামারী একটি সংক্রমণ রোগ। এই রোগ সীমান্ত বিবেচনা এবং দুর্বল, ক্ষমতাধর কিংবা উন্নত উন্নয়নশীল কাউকে আলাদা বিবেচনা করে না। করোনা আমাদের সময়সীমাও বেঁধে দেয়নি-সুতরাং করোনার সাথে সহাবস্থানে চলার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২৫০ শয্যার সেন্টারটি সম্পূর্ণ চসিকের ব্যবস্থাপনায় তৈরি করছি। ১০০ শয্যার প্রিন্স অব চিটাগং আইসোলেশন সেন্টারটিও অতি শীঘ্রই নগরবাসীর সেবা দিতে প্রস্তুত হবে। চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী এখানে যা প্রয়োজন তা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।